Header Ads

কেন্দ্রীয় চক্রান্তে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের যুক্তকরণের মাধ্যমে মুছে গেল বাঙালির এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস


স্বাধীনতার আগে চারজন বাঙালী শিল্পপতি ১. নরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশন, ২. জে সি দাস ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বেঙ্গল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, ৩. ইন্দুভূষণ দত্ত ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কুমিল্লা ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক এবং ৪. ডি এন মুখার্জি ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হুগলি ব্যাঙ্ক। পরবর্তী কালে এই চারটি ব্যাঙ্ক একসাথে মিশে হল ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক, যার শাখা পশ্চিমবঙ্গে এখনও সর্বাধিক।


২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত পরপর চার বছর বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পায় এই ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কখনো ক্ষুদ্র শিল্পে অবদানের জন্য, কখনো গ্রামীণ শিল্প উন্নয়নের জন্য, কখনো খাদি শিল্পের উন্নয়নে সহায়তার জন্য, কখনো প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনায় সহায়তার জন্য।

ঘন্টা বেজেছিল অনেক আগেই, ব্যাঙ্কের কোথাও বাঙালিয়ানার চিহ্ন মাত্র ছিলো না। ব্রাঞ্চগুলি থেকে বাংলা ভাষার ফর্ম স্লিপ ইত্যাদি ধীরে ধীরে মুছে গিয়েছিল। ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের লোগোতেও বাংলা ভাষা ছিলনা। শাখা গুলিতে বেশিরভাগ কর্মী অবাঙালী এবং বিভিন্ন এলাকায় তারা গ্রাহকদের ভাষাই বুঝতো না। পুরো ব্যাঙ্কের হিন্দিকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর হেড অফিসটিও আর বাংলার রাজধানী কলকাতায় রইল না।

১লা এপ্রিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নির্দেশে এটি মিশে গেলো পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এর সাথে। যদিও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এখনো পর্যন্ত লাভজনক এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এর মত কোন অভিযোগ ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এর উপর ছিল না। তা সত্ত্বেও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাথে মার্জ করা হলো।

প্রতিবেদন- মনন মন্ডল

No comments