Header Ads

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান-কবিতা ছাড়া যেন বসন্ত উৎসব অসম্পূর্ণ থেকে যায়


বসন্ত উৎসব ও দোলের সাথে মিশে আছে বাঙালির আবেগ। দুই বাংলাতে ধূমধাম করে পালিত হয় বসন্ত উৎসব। আর বসন্ত উৎসবের সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যিনি না থাকলে বসন্ত উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ হতোনা। 'ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগলো যে দোল' বা 'নীল দিগন্তে' ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায় বসন্ত উৎসব। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও গান বসন্ত উৎসবের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। 


শীতের অবসানে ফাগুন মাসের মাধ্যমে সূত্রপাত ঘটে বসন্ত কালের। কোকিলের কুহু ডাক, প্রাণজুড়ানো হিমেল হাওয়া, বৃক্ষের পাতা ঝরার দৃশ্যের মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষের কবিত্ব জেগে ওঠে। বসন্তকালকে তাই হয়তো ঋতুরাজ বলা হয়। এমনকি কেউ কেউ আরামদায়ক ঋতুও বলে থাকেন। আর ফাগুনের শেষে বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন আপামর বাঙালি। 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতার মাধ্যমে বসন্ত উৎসবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন "আজি দখিন দুয়ার খোলা। এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো।" বাংলার প্রকৃতির সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা মিশে গিয়ে একাকার হয়ে গেছে। বসন্তে পলাশ ও কৃষ্ণচূড়া গাছ ফুলের সমাহারে লালে লাল হয়ে ওঠে। পলাশবনে বাঙালির মন লুকোচুরি খেলতে ইচ্ছে করে। প্রেম, প্রকৃতি ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন বসন্তেরই অংশ হয়ে উঠেছে। 

"খোল দ্বার" ও "নীল দিগন্ত" গাইতে গাইতে বসন্ত উৎসবের রঙের মেলায় তরুণ-তরূণী, বৃদ্ধ-বনিতা নিজেদের সাজিয়ে তুলেছে। রঙবেরঙের আবিরে রবি ঠাকুরকে স্মরণ করে ফাগুন যেন সেজে উঠেছে। ফাগুনের রঙের উৎসবে মেতে ওঠা নিয়ে কবিগুরু লিখেছেন "আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে কোরো না বিড়ম্বিত তারে। আজ খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো, আজি ভুলিয়ো আপনার ভুলিয়ো, এই সংগীত-মুখরিত গগনে তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।"   
    
বসন্ত উৎসবে প্রেমিক-প্রেমিকাযুগলদের প্রেম বা যৌবন নিয়েও অতীব সুন্দর করে কবিগুরু লিখেছেন কবিতা। "মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে, লিখিছে প্রণয়কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে।" কাজেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাড়া বসন্ত উৎসব যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।"

No comments