সৃষ্টিকর্তার তৈরি রঙের সাথে সাথে মানুষের মনে রঙ লাগায় বসন্তোৎসব বা দোল
"বসন্ত এসে গেছে/ তার ছেঁড়া যন্ত্রের মাঝখানে শুয়ে থাকি/ আমলকি বনে শোনো…" বসন্ত সত্যি এসে গিয়েছে। ফাগুন মাস, পূবালী হাওয়া,আমলকি বন,লাল পলাশ,শিমুল জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমন। সে কবিগুরু হোন বা অনুপম রায় হোক, বাঙালির মনে বসন্তের আগমন পরিলক্ষিত তার গানে,ভাষায়, উৎসবে।এই বসন্তের অনুভূতি আরো তীব্র হয় বসন্তের অগ্রদূতের ডাকে। যে ডাক সকাল বিকাল জানান দিয়ে যায় বসন্তকাল। এই বসন্তকে নিয়ে বাঙালি,ইংরেজি সব কবিদের খুব মাতামাতি। সৃষ্টিকর্তার তৈরি রঙের সাথে সাথে মানুষের মনে রঙ লাগায় বসন্তোৎসব বা দোল।
আমাদের ছোটোবেলাতে দোল নিয়ে উন্মাদনা ছিল প্রবল। এখনো হয়তো আছে। তবে দোলের আগেরদিন চাঁচড় বা ন্যাড়াপোড়া।" আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল",এই সুরে বেসুরে কত গান,আনন্দ,বাড়ির, মাঠের শুকনো ডালপালা,ঘাস সবকিছু পোড়ানো।দোল মানে আবির,রঙ,বাদুড়ে রঙ, পিচকারির উত্তেজনাতে ভরপুর। দোল মানে রঙ লাগানোর উচ্ছলতা। দোল মানে "ওরে গৃহবাসী / খোল দ্বার খোল/লাগল যে দোল/স্থলে, জলে, বনতলে লাগল যে দোল/ খোল দ্বার খোল" বলে রাস্তায় মাতোয়ারা হওয়া। রাস্তায় লোককে রঙ মাখানোর প্রতিযোগিতা। রাস্তা, বাড়ির রক কিংবা বাড়ির ছাদ রঙে রঙ।দোল শুধু রঙ না,এক সৌভ্রাতৃত্বের উৎসব।ছোটদের মধ্যে উত্তেজনা টানটান। আমাদের মধ্যে আবির মাখা, ঠান্ডাই, কদমা, মঠ, মুড়কি খাওয়ার ধুম। শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব এককথায় অনবদ্য। তবে সেই মহিমা আজ নেই। মায়াপুরের দোলযাত্রার কথা অনস্বীকার্য। লাল পলাশ, শিমুল আর লাল আবিরের সাথে দোল উৎসব সবার ভালো কাটুক এই শুভেচ্ছা রইল। তাই কবিগুরুর গান দিয়েই শেষ করি "ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে…"।
Post a Comment