Header Ads

বিশ্বভারতীর লেটারহেডে ব্রাত্য বাংলা ভাষা। আবারো বিতর্কের সূত্রপাত


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতেগড়া বিশ্ববিদ্যালয় হলো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ এখানে পড়তে আসেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার ঐতিহ্য। বহু জ্ঞানী গুণী মানুষ এখানে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ও বাঙালির গর্ব। অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাত্য আজ বাংলা ভাষা। পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্বেও প্রতিনিয়ত বাংলা ভাষাকে আজকাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোটো করা হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। 


বিশ্বভারতীর লেটারহেডে বাংলা ভাষাকে স্থান দেওয়া হয়নি। কেবল হিন্দি ও ইংরেজিতে লেখা আছে লেটারহেড। আচার্য, উপাচার্য, প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সবই লেখা হয়েছে হিন্দি ও ইংরেজিতে। যা একদমই গ্রহণযোগ্য নয় প্রতিটি বাঙালির কাছে। কবিগুরু যিনি বাংলা সাহিত্যের জন্য ও বাংলা ভাষার প্রসারের জন্য কাজ করলেন। আজকে তারই হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে লুপ্ত হওয়ার পথে বাংলা ভাষা। 

বাঙালিদের অসচেতনতার বশেই এমন ঘটনা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ কাজ করছে দেখেও কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেননি। কারণ বাঙালির মেরুদণ্ড আজ ভেঙ্গে গেছে। বিশ্বভারতীর বুকে বাংলা ভাষার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের লেটারহেডে বাংলা না রাখার ব্যাপারটা নিছকই অন্যায়। এ ঘটনার ফলে আবারও অপমানিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যার সম্মানকে এমন ঘটনাগুলোর মাধ্যমে খর্ব করা হচ্ছে। 

কিছুদিন আগে হিন্দি অনুবাদে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়া ও উপাচার্যের হিন্দিতে বিশ্বভারতীতে বক্তৃতাকে ঘিরে জোর বিতর্কের সূত্রপাত হয়। আর এবার বিশ্বভারতীর লেটারহেডে বাংলা না রাখার ব্যাপারটা উসকে দিচ্ছে নতুন বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব নিয়ে। তবে কী বিশ্বভারতীর বুকে বাংলা ভাষা  ধ্বংস হয়ে যাবে? যা কারোরই  জানা নেই৷ তা একমাত্র সময়ই বলে দেবে৷ 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments