Header Ads

রাজিবুল ইসলাম মালির পরিচালনায় বঙ্গ স্টোরিজের তত্বাবধানে বারুইপুর রাজবাড়ীতে হয়ে গেল দোলের এক মহামিলন


বারুইপুরের চৌধুরী জমিদার বাড়ি। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ আছে যে বাড়ির। কলকাতার এই অঞ্চলের বিখ্যাত জমিদার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার বসবাস করতো এখানে। এটি একটি আটচালা বাড়ি। যা নির্মাণ করেছিলেন লক্ষীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়। ঐতিহ্যবাহী এই বাড়িটি বহু বছর যাবৎ ক্রমশ বারুইপুরের মানুষদের অগোচরে হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু গত ৮ ই মার্চ নতুন করে সেজে উঠলো বারুইপুর চৌধুরী বাড়ি। 


৮ই মার্চ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল এই বাড়িতে। 'বঙ্গ স্টোরিজে'র তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয় এ বসন্ত উৎসবের। 'বঙ্গ স্টোরিজ' এর প্রডিউসার ও পরিচালক রাজিবুল ইসলাম মালি ও তার টিম পুরো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল। অভিনব উদ্যোগে তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রঙ খেলার মাধ্যমে রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন। 

'বঙ্গ স্টোরিজে'র মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ অনুষ্ঠানকে আরো বেশি উদ্বেল করে তুলতে অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছিল সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'পেইন্টিং ইন দ্য ডার্ক' ছবির অভিনেতা সাহেব হালদার। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও প্রযোজক সত্যজিৎ দাস। নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়ে আয়োজিত পুরো উৎসবের দৈর্ঘ্য ছোটো হলেও অন্যরকম আমেজ ছিল এই উৎসবে। 

গান-গল্প, আড্ডা, ভূরিভোজের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বসন্ত উৎসব। চৌধুরী বাড়ি যেন আবারো জেগে ওঠে। পরিচালক রাজিবুল ইসলাম মালি বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া প্রতিভাকে তুলে ধরতে এমন একটি মহৎ উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসেন। লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে থাকা বারুইপুর চৌধুরী বাড়ি নতুন প্রাণ পেল। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, পরিচালক রাজিবুল ইসলাম মালির  উদ্দেশ্যই ছিল এমন একটি স্থান পছন্দ করা যা লোকের কাছে পুরানো হয়ে গেছে অথচ যাকে মানুষের কাছে আবারো স্মরণীয় করা যেতে পারে।   

                                                                  
'বঙ্গ স্টোরিজে'র এই উদ্যোগ যেমন বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে এমন উদ্যোগ দেখে আরো অনেক মানুষ এগিয়ে আসতে পারবে। রঙের উৎসবে রঙিন ভাবে বারুইপুর চৌধুরী বাড়িকে সাক্ষী করে যেভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল এমনভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন সচরাচর হয়না। সব মিলিয়ে একদম নবপ্রয়াসে নতুন রূপে বসন্ত উৎসবের সূচনা করলো 'বঙ্গ স্টোরিজ'। 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments