Header Ads

ক্যান্সার রোগীদের জন্য চুল কেটে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কলকাতার মেয়ে ঈশিকা


মানবিকতার পরিচয় মানুষ চাইলেই দিতে পারে। কে বলেছে মানবিকতা মারা গেছে? বাংলার বুকে আবারো জয় হলো মানবিকতার। নজির গড়লেন কলকাতার মেয়ে ঈশিকা সপ্তক ঘোষ। যিনি পেশায় একজন চিত্রশিল্পী, গায়িকা ও সঞ্চালিকা। যিনি কাজ করেছেন ধুম মিউজিক, স্টার আনন্দ, ডিডি বাংলা, সি টি ভি এনের মতো চ্যানেলে। ক্যান্সার রোগীদের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে নিজের মাথার লম্বা চুলের চৌদ্দ ইঞ্চি গোছা কেটে দান করলেন সেই সমস্ত রোগীদের। 


নারীদের কাছে চুলই হলো সৌন্দর্য। লম্বা চুলে মেয়েদের একটা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। ক্যান্সার হলো এক মারণঘাতী রোগ। যে রোগ মানুষের সহজে জীবন কেড়ে নিতে পারে। তবে ক্যান্সার রোগীকে কেমোথেরাপি করে বেশ কিছুদিন বাঁচানো সম্ভব হয়। কেমোথেরাপির ফলে মানুষের মাথার চুল পড়ে যায়। নারীদের পক্ষে চুল ছাড়া সুখে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই অনেক মেয়ে নিজেদের মাথার লম্বা চুল কেটে দান করেন ক্যানসার রোগীদের জন্য। যাতে ঐ রোগীদের শেষ জীবনটা স্বচ্ছন্দে কাটে।  
     
ঈশিকা সপ্তক ঘোষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তার কেটে ফেলা চৌদ্দ ইঞ্চির চুল পৌঁছে যাবে আরব সাগরের পাড়ে সূদুর মুম্বাইতে। সেখানকার একটি সংস্থা উইগ তৈরী করে হাজার হাজার ক্যান্সার রোগীদের মুখ হাসিতে ভরিয়ে দেয়। ঈশিকার এমন মহৎ কাজের জন্য উপকৃত হবে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা। হাসি ফুটবে সেখানকার ক্যান্সার আক্রান্ত বাচ্চাদের মুখে। 
মুম্বাইয়ের এই সংস্থাতে যে-কোনো মেয়েই চাইলে চুলদান করতে পারেন ক্যান্সার রোগীদের জন্য। চুলের দৈর্ঘ্য হতে হবে বারো থেকে কুড়ি ইঞ্চি। প্রথমে চুল কাটতে হবে তারপর চুলগুলো প্লাস্টিকবন্দী করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হবে। মুম্বাইতে যে ঠিকানায় পাঠানো যাবে তা হলো Madat Trust, 15 Ujagar Industrial Estate, Waman Patil Marg, Deonar, Mumbai 400071. আর চুল দিয়ে কী হয়, কীভাবে চুল কাটতে হবে, তার যাবতীয় ডিটেলস পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে- https://www.copewithcancer.org/hair-donation.

মানুষ মানুষের জন্যই জন্ম নেয়। প্রতিটি মানুষের উচিৎ মানুষের জন্য কাজ করা৷ আমাদের জীবন একটাই। এই এক জীবনে আমাদের অনেক কর্তব্য থাকে। সেই কর্তব্য পরিবারের জন্য হতে পারে, রাজ্যের জন্য হতে পারে, দেশের ও দশের জন্যও হতে পারে৷ মানুষের পরিচয় হলো মনুষ্যত্ব। যা মানুষকে মানবিকতার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। ঈশিকার এই সৎ কর্ম দেখে এগিয়ে আসতে পারেন সমাজের অনেক মেয়েরা। মাথার লম্বা চুল কাটা হলেও তা দুই দিনে গজিয়ে উঠবে৷ কিন্তু একজন ক্যান্সার রোগী যে সামান্য সাহায্য পেলে হয়তো আরো দুটো দিন, দুটো মাস ও দুটো বছর বেঁচে যেতে পারে৷ আমরা কী পারিনা তাদের কথা চিন্তা করতে? কাজেই এমন সাহসী কর্মকাণ্ডে সকল মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে। এভাবেই মানবিকতার জয় হোক।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments