Header Ads

একজন নির্ভীক সাংবাদিকের গল্প। যিনি সাংবাদিকতাকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেন


নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিক সমাজে আজকাল খুব বেশি পাওয়া যায়না। তার ওপর যদি একজন নারী নির্ভীকভাবে সাংবাদিকতা করতে এগিয়ে আসেন তাহলে সমাজের কিছু মুখোশধারী তাকে ক্রমাগত খুনের হুমকি দিতে থাকে। এমনই একজন নির্ভীক মহিলা যার স্বপ্ন ছিল একজন স্বাধীনচেতা সাংবাদিক হওয়ার। প্রথমে তিনি এই সুযোগ পাননি। এক তো বাড়ির চাপ তো অন্যদিকে কঠিন সময়৷ একজন মেয়ের পক্ষে সাহসী ও স্বাধীনচেতা সাংবাদিক হওয়া যথেষ্ট জটিল। তবুও নিজের স্বপ্ন থেকে তিনি সরে আসেননি।  


তিনি ইউটিউবে কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে যুক্তি সহকারে ভিডিও বানান। এরপর খুনের হুমকি আসতে থাকে তার ওপর। কেউ তাকে রড দিয়ে মেরে আগুনে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি৷ কেউ তাকে ধর্ষণ করার হুমকি দিতে থাকে। গায়ের রঙ কালো বলে তিনি কিছু মানুষের কাছে বর্ণবিদ্বেষেরও স্বীকার হয়েছেন। এরপরও তিনি এতটুকু সরলেন না নিজের জায়গা থেকে। ইউটিউবের দৌলতে নিজের মতো করে একের পর এক অনুষ্ঠান চালিয়ে গেলেন। তিনি স্বাধীনভাবে শুরু করলেন সাংবাদিকতা। তিনি 'হঠাৎ যদি উঠলো কথা' নামের একটি জনপ্রিয় ইউটিউব মিডিয়ার জন্ম দিয়েছেন। তিনি হলেন আমাদের সবার পছন্দের সেই দিদি। যে দিদি মিষ্টি গলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথ্যভিত্তিক অল্প সময়ের মধ্যে আলোচনা করে আমাদেরকে অনেক কিছু শেখান। এই দিদির মতো স্বাধীনচেতা মানুষ খুব কম রয়েছেন। যিনি সাহসের সাথে যে-কোনো বিষয় নিয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পারেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে এতটুকুও নেগেটিভ দিক নেই। এই দিদিকে আপনারা সবাই চেনেন৷ তিনি হলেন পৌলমী নাগ।  

বাংলা ও বাঙালিয়ানাতে ভরপুর 'হঠাৎ যদি উঠলো কথা' চ্যানেলে তিনি বাংলা সাহিত্য, গল্প পাঠ, মহানগরের গল্প, কলকাতার কড়চা, কলকাতার জানা-অজানা ঘটনা, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, উৎসব, অর্থনৈতিক অবস্থার পাশাপাশি ভারতের কিছু সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয় নিয়ে তিনি বিশদে আলোচনা করেন। তার এক একটা বিষয় নিয়ে গল্প বলার ধরণ অনেকটা আলাদা। এই মিডিয়ার একটা ভিডিও দেখলেই আপনি নিয়মিত দর্শক হয়ে যাবেন এই মিডিয়ার। 

শ্রীমতী পৌলমী নাগ বাংলা ও বাঙালির গর্ব। তিনি সাংবাদিক পেশাকে সৎভাবে ব্যবহার করে মানুষকে সঠিক ভাবে চিন্তা করতে শেখাচ্ছেন। যে মানুষটা কালকে পর্যন্ত বাঙালি হয়ে বাঙালি জাতিকে নিন্দা করে এসেছে সেও বদলে যেতে পারে তার প্রত্যেকটি কন্টেন্টের শক্তিতে৷ 'হঠাৎ যদি উঠলো কথা' চ্যানেলের প্রতিটি কন্টেন্ট লক্ষ লক্ষ বাঙালির কাছে আজকাল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। তার মতো এমন নির্ভীক-বুদ্ধিমতি সাংবাদিক বাংলাতে খুব কম রয়েছে। শুধু বাংলা বললে ভুল হবে গোটা ভারতবর্ষে এরকম সাংবাদিক খুব কম আছে। তিনি সাংবাদিকতাকে মানুষের কাছে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন। 

তিনি নির্ভীকভাবে সাংবাদিকতার জন্য খুনের হুমকি তো পেয়েছিলেন পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মানুষ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু  তিনি এইসব তুচ্ছ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে একের পর এক কন্টেন্ট নিয়ে এসে রীতিমতো আজ ইউটিউবে একজন তারকাতে পরিণত হয়েছেন। তিনি কখনোই দমে থাকার পাত্রী নন। সাংবাদিকতার মতো জীবিকাকে নিষ্ঠার সহিত গ্রহণ করে তিনি পৌঁছে গেছেন সাফল্যের শিখরে।

No comments