Header Ads

বর্তমান আপদকালীন পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে পথ দেখাচ্ছে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রসায়ন বিভাগ


করোনায় বিদ্ধস্ত সারা দুনিয়া।বাংলা তথা ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। করোনা যখন মহামারীর হুমকি দিচ্ছে ঠিক তখন দেশের নাগরিক,সরকার সবার উপর সতর্ক হওয়ার ও নিজেদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করার দায়িত্ব এসে পড়ে। স্কুল কলেজ হল সমাজে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তাই স্কুল কলেজের একটা ভূমিকা এসে পড়ে।সেই দায়িত্বই পালন করে দেখালেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কেমিক্যাল মিক্সিং, বটলিং থেকে লেভেলিং সবই রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এবং ল্যাব অ্যাসিটেন্টরা করেছেন নিজেদের হাতে।


এই করোনার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার,মাস্ক ও টেস্টিং কীটের খুব প্রয়োজন পড়ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অভাব পূরণে সচেষ্ট হলেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রসায়ন বিভাগ। এখন অত্যধিক চাহিদা থাকায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কালোবাজারী হওয়ার চরম সম্ভাবনা।গরীব মানুষরা খুব সমস্যায় পড়তে পারেন তাই কিছুটা মানুষকে সুবিধা করে দিতেই এই উদ্যোগ। ওনারা এইহ্যান্ড স্যানিটাইজারের নাম দিয়েছেন স্পর্শ।

এই কলেজের অধ্যাপক ড. অপূর্ব বিশ্বাস লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান যে তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনস মেনে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেন তাঁরা। এগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মানুষের হাতে তাঁরা তুলে দেবেন। তিনি জানান যে অ্যালকোহল ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে কলেজে তা যাতে বাড়ানো যায় তাই তাঁরা সরকারের কাছ থেকে অনুমতির জন্য বলেছেন। এই অনুমতি পেলে ওনারা ১০,০০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে আনবেন।

এই কর্মকান্ড চলছে প্রায় দশ দিন। এতে ঐ কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকাশিক্ষাকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে বানিয়ে চলেছেন এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রসায়ন বিভাগ  থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে এসেছে অন্যান্য কলেজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা দল। মালদা কলেজের রসায়ন বিভাগও একই ভাবে এগিয়ে এসেছেন। হয়তো আরো অনেক কলেজ বানাচ্ছেন আমাদের অগোচরেই। এভাবেই সমাজ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পথ দেখালো এই কলেজের রসায়ন বিভাগ যা প্রশংসাযোগ্য। বহু মানুষ এই কাজের প্রশংসা করেছেন এবং উৎসাহ দিচ্ছেন এই কাজের। একাধিক মিডিয়াও মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন এই কাজের কথা। ভবিষ্যতেও এরকম কর্মকান্ড দেখতে পারবো আশা করতেই পারি। করোনা মোকাবিলায় এইসব মানুষদের ভূমিকা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


প্রতিবেদন- অমিত দে

No comments