রাজ্য সরকারের জরুরী রিলিফ ফান্ডে করোনা মোকাবিলাতে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা অনুদান দিলো বোরোলীন
শীতকাল মানেই বাঙালির আজও ভরসা বোরোলীন। প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ বলেছেন "বোরোলীন হলো বঙ্গ জীবনের অঙ্গ।" বোরোলীনের উপকারিতা বাঙালি কখনোই ভুলতে পারেনা। বোরোলীনের গন্ধে বাঙালি আজও পাগল। সাদা রঙের এমন ক্রিম শরীরে লাগলে যেন মনে হয় অমৃতের স্পর্শ। দেশ-বিদেশের যে-কোনো কসমেটিক ক্রিমকে একনিমেষে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বোরোলীন। বাঙালি ব্যবসায়ী গৌড়মোহন দত্তের হাত ধরে পথচলা শুরু হয় বোরোলীনের। এই কোম্পানির বর্তমান মালিক দেবাশীষ দত্ত। প্রায় নব্বই বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়েছে বোরোলীনের ব্যবসা।
দীর্ঘ নব্বই বছর পরেও বোরোলীনের গুরুত্ব এতটুকুও কমে যায়নি৷ উল্টে বোরোলীনের বিক্রি দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঙালির নিজস্ব প্রোডাক্ট হলো বোরোলীন। যা চিরন্তন বাঙালিয়ানার ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। বোরোলীন যেন মায়ের আদর ও যত্নের মতোই অতুলনীয়। সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলীন। এবার সামাজিক কর্মকাণ্ডে অনন্য নজির গড়লো বোরোলীন। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো বোরোলীন।
করোনা প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একজোট হয়ে পথে নেমেছে। করোনা প্রতিরোধের জন্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তত্বাবধানে খোলা হয়েছে জরুরী রিলিফ ফান্ডও। যে ফান্ডে অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। করোনাতে মুখ্যমন্ত্রীর জরুরী রিলিফ ফান্ডে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা অনুদান দিলো বোরোলীন। এমন সামাজিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক মানুষ। সামাজিক দায়বদ্ধতায় যে তারা বদ্ধপরিকর তারই প্রমাণ দিলো করোনার যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে।
সামাজিক কাজ বোরোলীনের এই প্রথমবারই নয়। এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে তাদের। ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট বোরোলীন কোম্পানি প্রায় এক লক্ষেরও বেশি বোরোলীন মানুষকে দান করেছিলেন। বোরোলীনের মহৎ উদ্যোগ দেখে আরো অনেকে এগিয়ে আসতে পারেন বলে আশ্বাস অনেক বাঙালির।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment