Header Ads

করোনা মোকাবিলাতে বাঙালি শ্রমিকদের জীবন রক্ষার্থে বিড়লার ফ্যাক্টরি বন্ধ করলো বাংলা পক্ষ


করোনার যুদ্ধোত্তর পরিবেশে লকডাউন গোটা রাজ্য। প্রশাসন কড়া হাতে দমন করার প্রচেষ্টায় দায়িত্ব নিয়েছে। প্রতিটি মানুষকে বাড়িতে গৃহবন্দী থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরের রাজ্য কিংবা বিদেশ ফেরত এ রাজ্যের মানুষদের করোনা চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে কোনো মানুষ যেন বাইরে না বের হয়। সরকারের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের নজর এড়িয়ে হুগলির কুন্তীঘাট এলাকার বিড়লার মালিকাধীন কেশোরাম রেয়ন নামের একটি ফ্যাক্টরি খুলে রাখা হয়।

 
মোট তিনটি শিফটে শ্রমিকদের কাজ করানো হচ্ছিল। এই ফ্যাক্টরির মালিক করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষের কথা চিন্তা না করে ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছিল নিজেদের ব্যবসা। যার কারণবশত জীবন বিপন্ন হওয়ার দিকে এগোচ্ছিল অসংখ্য শ্রমিক-কর্মচারীরা। যা রীতিমতো ভীতির সঞ্চার করেছিল। শ্রমিক-কর্মচারীরা একটা বড়োসড়ো বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল। এই চিত্রটি চোখে পড়েছিল বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধা প্রিয়জিৎ মুখার্জির। তিনি এই ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার জন্য এগিয়ে আসেন। 

প্রিয়জিৎ মুখার্জি মগরাহাট থানার ওসিকে বারবার ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর ডিএম অফিসে ফোন করেও বিষয়টি জানানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলবেলায় কোম্পানির তরফ থেকে নোটিশ জারি করা হয় যে কিছু প্রয়োজনীয় ডিপার্টমেন্ট ছাড়া কোম্পানি লকডাউন করা হচ্ছে। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় ফ্যাক্টরিটি। শ্রমিক-কর্মচারীরা এ ঘটনার পর কিছুটা আশ্বস্ত হন। এই ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা বর্তমানে সুস্থভাবে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন। প্রিয়জিৎ মুখার্জির বিশেষ প্রচেষ্টায় বাংলা পক্ষের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে এ কাজ।  

বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধা প্রিয়জিৎ মুখার্জি
এ ঘটনার প্রসঙ্গে বাংলা পক্ষ তাদের কয়েকটি বিবৃতি তুলে ধরে। তারা লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানায় যে "১৯৪৩ সালে বিড়লারা বাঙালিদের না খাইয়ে হত্যা করেছিল। তারা একই জিনিস আবার করতে চায়। কারণ এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলা পক্ষ সেই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। কিন্তু আমাদের সহযোদ্ধারা বাংলার চারিদিকে নজর রাখছে। কোনো বহিরাগত কোম্পানি যদি এই সময় কোম্পানি খুলে রাখতে চায় তাহলে সেই কোম্পানি বন্ধ করবার দায়িত্ব বাংলা পক্ষের। আমরা কোনো বাঙালির জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করতে দেবো না।"                                                                                                          
প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments