Header Ads

খড়্গপুর বইমেলা কমিটির উদ্যোগে ঘটা করে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস


গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী সারা রাজ্যজুড়ে ঘটা করে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সারা রাজ্য যখন মেতেছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সেখানে পিছিয়ে ছিলনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও। খড়্গপুর শহরে খড়্গপুর বইমেলা কমিটির উদ্যোগে অতুলমণি পলিটেকনিক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে জাঁকজমক ভাবে উদযাপিত হলো ভাষা দিবস।


বিভিন্ন বিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ  করতে দেখা যায় এই অনুষ্ঠানে। তেলেগু বিদ্যাপীঠ, অতুলমণি হাইস্কুল, উৎকল বিদ্যাপীঠ, রেলওয়ে স্কুল, তারানা ডান্স গ্রুপ, আর্য বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল, প্রিয়নাথ রায় বিদ্যা নিকেতন, ভূপালী সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়, ননীগোপাল সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের মতো বিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় এ অনুষ্ঠানে। 

গীতালি নামের একটি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানের সূচনা করেন উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে। এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলে বেশ কিছুক্ষণ। তারপর তেলেগু বিদ্যাপীঠ তেলেগু ভাষাতে বিশেষ অনুষ্ঠান করে। এরপর অতুলমনি হাইস্কুল একটি নাটক উপস্থাপন করে। তারপর রেলওয়ে স্কুলের এক শিল্পী প্রশান্ত রায়ের ওড়িয়া অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের পর তারানা ডান্স গ্রুপের কুমারী মনিকা নামের একজন নৃত্যশিল্পীকে দেখা যায় নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে। নৃত্যানুষ্ঠানের পর আর্য বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলকে দেখা যায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠান করতে। তারপর সুরসাধনা বলে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সোমা হালদার নামের একজন শিল্পীকে সম্মেলক সঙ্গীত গাইতে দেখা যায়। এরপর প্রিয়নাথ রায় বিদ্যা নিকেতন অংশ নেয় তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠানে। তারপর সংঘমিত্রা দাস নামের একজন শিল্পীকে দেখা যায় সঙ্গীত পরিবেশন করতে। এরপর বৈশাখী দাস নামের একজন শিল্পীকে দেখা যায় আবৃত্তি করতে। তারপর হিতকারিণী স্কুলে বিশেষ অনুষ্ঠান, অশ্বিনী লাল নামের একজন শিল্পীর হিন্দি কবিতা, সৌমিক গোস্বামী নামের একজন শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশন ও ভূপালি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পী গুরুপদ দের সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন, অনুভব নামে এক শিল্পীর আবৃত্তি, পূরবী নামক এক প্রতিষ্ঠানের শিল্পী সুনন্দা চক্রবর্তীর সম্মেলক সঙ্গীত, পীযূষ কুন্ডু নামের এক শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশন তারপর ননীগোপাল সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের সজল বসুকে দেখা যায় সম্মেলক সঙ্গীত গাইতে। সবশেষে শিল্পী তিলক মুখোপাধ্যায়ের সমাপ্তি সঙ্গীত দিয়ে শেষ হয় পুরো অনুষ্ঠান।


এ অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। যিনি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বাংলা ও বাঙালির উদ্দেশ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেন।

এ অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিল বহু মানুষ। সকলের মধ্যে এদিন একটা আলাদা উত্তেজনা ছিল৷ সকল মানুষ যথেষ্ট আগ্রহের সাথে পুরো অনুষ্ঠানটি দেখেন। এ অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজানো হয় বাংলাদেশের শহিদ মিনারের ছবি দিয়ে।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments