বাঙালি ফার্মাসিস্ট ও বাংলা পক্ষের চাপে সরানো হলো বাঙালি ফার্মাসিস্ট নিয়োগে বাঁধা প্রদানকারী আই.এ.এস অফিসারকে
আই.এ.এস অফিসার গোলাম আনসারিকে স্বাস্থ্য ভবনের পদ থেকে সরাতে বাধ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যভবনের সামনে বাঙালি ফার্মাসিস্ট ও বাংলা পক্ষের চাপে সম্ভব হলো এ কাজ। গোলাম আনসারি বেআইনি ভাবে বাঙালি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। যে নিয়োগ প্রক্রিয়া টি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। ফার্মাসিস্ট নিয়োগের ভেরিফিকেশন পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। তারপর স্বাস্থ্য ভবন চলতি বছরের ১৭ ই ফেব্রুয়ারী হঠাৎ করে বাঙালি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। যার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ভাবে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সকল বাঙালি ফার্মাসিস্টরা। তারা দীর্ঘ আন্দোলনের জন্য ধর্নায় বসে। তাদের সাহায্য করার জন্য বাংলা পক্ষ পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে।
বাংলা পক্ষ ও বাঙালি ফার্মাসিস্টরা আজ স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও করে তার সামনে একটি ধর্না ও পথসভার আয়োজন করেছিল৷ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়েছিল তাদের ধর্না ও পথসভার চিত্র। সকল বাঙালি ফার্মাসিস্টরা তুলে ধরেছেন বেশ কিছু অজানা তথ্য। বিভিন্ন বিবৃতির মাধ্যমে তারা ব্যাখ্যা করেছেন আসল ঘটনার। তারা যে বাঙালি বলেই বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছেন এ কথাও তারা তুলে ধরেছেন।
গোলাম আনসারির বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। সেখান থেকে বাংলাতে এসে চাকরি করা সত্বেও বাঙালি ফার্মাসিস্টদের অপমান করেছেন তিনি। কোনো কারণ ছাড়াই বাঙালি ফার্মাসিস্ট নিয়োগে তিনি বাঁধা দেন।যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও গণতন্ত্র বিরোধী একটি কাজ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসার পরও ফার্মেসি ইউনিয়নের সাথে তিনি কথা বলতে রাজী হননি৷
বাঙালি ফার্মাসিস্টরা বলেন যে এই পরীক্ষায় বাংলা লেখা ও বাংলা জানা বাধ্যতামূলক ছিল। ঠিক এ কারণেই হয়তো ঐ অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছেন।তাদের দীর্ঘ প্রতিবাদের ফলস্বরূপ পিছু হটলো গোলাম আনসারি। আন্দোলনের চাপে রাজ্য সরকারের তরফে ডানা ছাঁটা হলো গোলাম আনসারির।
বাংলার বুকে প্রতিদিন দৌরাত্ম বাড়ছে বহিরাগত মানুষ ও পুলিশ অফিসারদের। বাংলা পক্ষ এ আন্দোলনের প্রসঙ্গে দাবি জানায় যে বাংলাতে বাংলা জানা আই.এ.এস ও আই.পি.এস দরকার। রাজ্যের সকল চাকরিতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি পরীক্ষা ও বেসরকারি মিলিয়ে সবরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক
Post a Comment