Header Ads

কলকাতা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে দেশে সম্পদ কর প্রচলনের দাবি জানালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়


দেশে আবারো সম্পদ কর প্রচলন করার দাবি জানালেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। দেশজুড়ে বর্তমানে আর্থিক মন্দা চলছে। এই মন্দার পিছনে তিনি সরাসরি দায়ি করছেন কেন্দ্র সরকারকে। কারণ কেন্দ্র সরকার কোনোমতেই জোর দিচ্ছে না ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার শুধুই ব্যস্ত রেল থেকে শুরু করে বিমান, পেট্রোল, ব্যাঙ্ক, এলআইসি সবকিছুরই বেসরকারিকরণে। যা ভারতীয় জনসমাজে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের মঞ্চে তিনি একটি বিশেষ আলোচনা সভাতে দেশের আর্থিক মন্দার প্রসঙ্গে সম্পদ কর প্রচলনের কথা বলেন। 


তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে বাজেটে সরকারের উচিৎ ছিল সম্পদ করা প্রচলন করা। কিন্তু কেন্দ্র সরকার তা করেনি। ফলে আর্থিক মন্দা আরো বেশি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। আর্থিক মন্দার মুখে দাঁড়িয়ে দেশে সম্পদের পুনর্বণ্টনের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো জানান যে "আমাদের দেশ কতটা মন্দার মধ্যে দিয়ে যাবে জানিনা। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই, যা দেখে বলা যায় যে মন্দা হবেনা"।   
    
কিছুদিন আগে তাঁকে এই বছর জয়পুর সাহিত্য উৎসবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। সেখানে তাঁকে অনেকে বেশ কিছু প্রশ্নে বিদ্ধও করেছেন। যেমন তাঁকে একজন প্রশ্ন করেন যে "ভারতে থাকলে কী আপনি নোবেলের মতো এতো বড়ো সম্মান অর্জন করতে পারতেন?" যার উত্তরে সোজাসাপটা জবাব দিয়ে তিনি বলেন "না পারতাম না। ভারতে যোগ্যতার অভাব নেই। তবে সঠিক কার্য প্রক্রিয়া দরকার। একার পক্ষে সব কাজ সর্বদা সম্ভব হয়না। সকলের সঙ্গে কাজ করলে অনেক সুবিধা হয়।"

তিনি এও বলেন যে "ভারতে একটি বিরোধী দলের প্রয়োজন। যারা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। শাসক পক্ষকে কড়া নজর রাখতে গণতন্ত্রে ভালো বিরোধী শিবিরের প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" তিনি দেশের দারিদ্র্যতার প্রসঙ্গে তুলে ধরেন বেশ কয়েকটি যুক্তি। তিনি বলেন "যারা আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন তাদের কাজের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। তাদের কাজের উপযোগী সরঞ্জামও প্রদান করতে হবে। উন্নয়নের পথ দেখাতে হবে। যার ফলে আগামী দশ বছরে তাদের আয় পঁচিশ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে তারা অদূর ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যক কাজে উৎসাহী হবে। কাজেই ভারতবর্ষে সম্পদ কর প্রচলন করার যথেষ্ট দরকার রয়েছে।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments