Header Ads

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে দিলেন সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে

       
সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে যখন একের পর এক মহান ব্যক্তিরা প্রতিবাদ করে চলেছেন সেখানে বাদ গেলেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়ও। তিনিও এবার প্রতিবাদে সরব হলেন সিএএর বিরুদ্ধে। একইসাথে তাঁর স্ত্রী এস্টার ডাফলোকেও দেখা গেছে সিএএর বিরুদ্ধে কথা বলতে। লিটারেসি প্যারাডাইসের বিশেষ সূত্রে জানা গেছে এই খবর।

 
গত ডিসেম্বর কেন্দ্র সরকার পাশ করে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট। যার মাধ্যমে পুরো ভারতে শুরু হবে নাগরিকত্ব চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া। যে অ্যাক্ট বানানো হয় সংবিধানের নিয়ককে ভঙ্গ করে। এই অ্যাক্টের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সেলিব্রিটি থেকে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি সকলেই। নাগরিকত্ব সংশোধনের বিষয়ে কেউই আগ্রহী নয়। এই বিলের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ও বেশ কিছু রাজ্যের জনসাধারণ গণআন্দোলনের ডাক দেয়। পশ্চিমবঙ্গের সকল প্রান্তে কাগজ না দেখানোর শপথ নেওয়া হয়। জনসাধারণের আন্দোলনকে দমানোর জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে দেশজুড়ে আধা সামরিক বাহিনী। ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন ত্রিশ জনেরও বেশি মানুষ। 

নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে দিলেন সিএএর বিরুদ্ধে। তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে এই বিল নাগরিকদের জন্য কতটা ভয়ার্ত। নথি সংগ্রহ থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন প্রতিটি বিষয়ের কথায় যাচাই করে তিনি তুলে ধরেছেন। এনআরসির ফলে আসামে কত কত বাঙালির প্রাণ গেছে। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এনআরসির ফলে হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে এ বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন। 

তিনি বলেন - "নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হলে তাঁরা অপরাধী গণ্য হবেন বলেই ধরে নেওয়া যায়৷ বিদেশি বলে অপরাধী এবং রাষ্ট্রহীন! অথবা কিছু আধিকারিকের সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল কোনো মর্যাদা। এ এক ভয়ংকর জুয়া। এ তো মানুষের নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার প্রশ্নে অবাঞ্ছিত সরকারি পদক্ষেপ। তুমি যদি দেশের নাগরিক না হও, তাহলে এতদিন তুমি কোথায় বাঁচলে? কেউ যদি তোমাকে না চায়, তাহলে তুমি কে? এ প্রশ্নটাই তরুণ-তরুণীদের বিপর্যস্ত করে তুলছে।" 
               
প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments