স্বামীজী ও এক যুবকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী
গতকাল ছিল ১২ ই জানুয়ারি বাংলা তথা ভারতের অন্যতম
কৃতি সন্তান স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবস।এই মহান ব্যক্তি ১৮৬৩ সালে উত্তর
কলকাতার সিমলায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁকে ও তাঁর কাজকে
সম্মান জানানোর জন্য তাঁর জন্ম দিবস "জাতীয় যুব দিবস" হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।স্বামীজী ওতপ্রোতভাবেই যুবকবৃন্দকে দেশ-সেবার কাজে জড়িয়ে যেতে
বলেছিলেন।দেশের যুবক-যুবতীদের উপর ছিল তাঁর সমস্ত আশা-ভরসা।নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসুর মতো অনেক বিপ্লবী তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত
হয়ে দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন।যুবক-যুবতীদের ব্যাপারে যুবকটির
প্রতি স্বামীজির উপদেশ আজকে জানবো এই প্রতিবেদনে।
একদিন একটি যুবক এলেন স্বামীজির কাছে। তাঁর মন বড়োই চঞ্চল, কোনো কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেন না। তিনি কাতরভাবে
স্বামীজীকে বললেন, “স্বামীজি, আমি অনেক দলে মিশেছি, কিন্তু সত্য যে কি, সে আজও ঠিক করতে পারলাম না। আমি প্রতিদিন দরজা বন্ধ
করে ধ্যানে বসি ও চোখ বন্ধ করে থাকি। কিন্তু তবুও শান্তি পাই না কেন?”
স্বামীজী এরপর বললেন,“শান্তি যদি চাও,ঠিক এর বিপরীতটা করতে হবে। দরজা খোলা রাখতে হবে। আর চোখ মেলে চারিদিকে তাকাতে হবে। তোমার আশেপাশে কত
লোক তোমার সাহায্যের প্রত্যাশায় রয়েছে, তাদের সাহায্য কর-ক্ষুধার্থকে অন্ন দাও, তৃষ্ণার্তকে জল দাও। যথাসাধ্য পরের উপকার কর-তাতেই
মনে শান্তি পাবে।
আজ এই কর্পোরেট দুনিয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ার হাতছানিতে ও ইঁদুর দৌঁড়ে দেশের
যুবসমাজ ভালো নেই। বেকারত্ব ও বিপথগামী করার সরঞ্জাম এবং আদর্শ ও নীতিহীন রাজনীতি যখন প্রতিনিয়তই যুব সমাজকে গ্রাস করে
চলেছে তখন স্বামীজীর চারপাশে সাহায্যপ্রার্থীদের সাহায্য করা,সেবা করা ও পরের উপকার করার বাণী তাদের পথ দেখাতে পারবে। বলা যায়,অন্ধকারময় জীবনে এক আলো দেখাতে পারবে। স্বামীজীর বাণী মেনে চললে দেশের যুবসমাজ যেমন শান্তি পাবে ঠিক তেমনি দেশ ও দশের
মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে। আর এভাবেই তারা স্বামীজীর প্রতি তাদের
শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
তথ্যসূত্রঃ- সবার স্বামীজী, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, কলকাতা।
Post a Comment