Header Ads

শীতকাল মানেই সারা বাংলার শহরে শহরে বইমেলার আসর



অনেকেই বলে বাঙালি ব্যবসা করতে পারেনা কিন্তু একই জায়গায় একই রকম জিনিসের পট্টি বা স্টল আকার ব্যবসায় বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। যেমন শক্তিগড়ের ল্যাংচা একই জায়গায়, কয়েক শত ল্যাংচার দোকান বা জয়নগরের মোয়া এই ক্ষেত্রেও একই জায়গায় প্রায় তিনশোটি দোকান। কলেজ স্ট্রীট এরকম আরো একটি উদাহরণ যেখানে কয়েক হাজার বই এর দোকান যা বিশ্বের বৃহত্তম বই এর মার্কেট। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে রয়েছে প্রায় শতাধিক শাঁখা দোকান একসাথে। বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি বা মুর্শিদাবাদের গামছা। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের পটের দোকান, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর মাদুর ইত্যাদি রয়েছে। 


এছাড়াও মেলার মাধ্যমে উপার্জন বাংলার চেয়ে বেশি আর কোথাও হয়না। সারা বছরই বিভিন্ন মেলা চলতেই থাকে দুর্গাপুজো থেকে পৌষপার্বন বাদেও অফ সিজিনে বারোয়ারি মেলা, আনন্দমেলা, চড়কমেলা, গঙ্গামেলা, বস্ত্রমেলা, তাঁতমেলা, ঝোড়পার্বন, যাত্রাপালা, কীর্তন, বাউলমেলা ইত্যাদি চলতেই থাকে। যে কারণে বাংলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অনেক সহজে উপার্জন করছে।

এরকমই আর একটি মেলা চলে সারা বাংলা জুড়ে তা হল বইমেলা। কলকাতা বইমেলা তো বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলার একটি এটি বাদ দিলে শিলিগুড়ি বইমেলা, আগরতলা বইমেলা, শিলচর বইমেলা, দমদম বইমেলা, বর্ধমান বইমেলা, আসানসোল বইমেলা, মালদা বইমেলা, লিলুয়া বইমেলা, খড়গপুর বইমেলা, মেদিনীপুর বইমেলা, ঝাড়গ্রাম বইমেলা, সোনারপুর বইমেলা, নদীয়া বইমেলা ইত্যাদি। শুধু জেলা শহর নয় বিভিন্ন ছোটো ছোটো গ্রামেও হয়ে থাকে বইমেলা। এমনকি ওপার বাংলাতেও একইভাবে বইমেলা হয়ে থাকে।

একটা জাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে বই এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বই এর সাথে জড়িত লেখক, প্রকাশক, পাঠক, চিত্রকর, গায়ক, শিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্যকার সকলের জন্যই অর্থনৈতিক ভাবে বইমেলা সমৃদ্ধ করে। পাঠক সহজে বই পেয়ে যান হাতের কাছে বই বিক্রেতাও সহজে বই বিক্রয় করতে পারেন। প্রকাশকদের বই বিক্রি বাড়ে। পরোক্ষ ভাবে লেখক, কবি, সাহিত্যিকরাও তাদের ভালো রয়েলটি পান।এরকম ঐতিহ্যপূর্ণভাবে মনে হয়না যে আর সারা বিশ্বে কোথাও বইমেলা হয়। শীতকালে বাঙালি শুধু বেড়াতেই যান না বিভিন্ন মেলার মাধ্যমে কেউ কেউ উপার্জনের প্রধান সময় হিসেবে মনে করেন।আর শিক্ষা দীক্ষা বাড়াতে তো বই চাই-ই, আর তার জন্য বইমেলা রয়েইছে যত রকমের বই চাই সবই আপনার দোরগড়ায়।

No comments