Header Ads

"আগামী দশ-কুড়ি বছরে আমি অভিনয়টাকেই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখবো সবসময়"। খোলামেলা সাক্ষাৎকারে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এ প্রজন্মের অভিনেতা অরুণাভ দে


টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এ প্রজন্মের অভিনেতা অরুণাভ দে। যিনি 'তৃতীয় অধ্যায়', 'চরকি' ও 'ডাব চিংড়ি'র মতো বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। 'কৃষাণু কৃষাণু', 'হেডকোয়ার্টার লালবাজার', 'সেই যে হলুদ পাখি'র মতো ওয়েবসিরিজে অভিনয় করে তিনি সবার নজর কেড়েছেন। সিনেমার পাশাপাশি তিনি একজন নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুর ব্রাত্যজন নাট্যদলে 'দেবদাস' নাটকে একটি বিশেষ  ভূমিকায় অভিনয় করছেন। অভিনেতা অরুণাভ দে খোলামেলা সাক্ষাৎকারে ধরা দিলেন লিটারেসি প্যারাডাইস পোর্টালে।


লিটারেসি প্যারাডাইস- 'তৃতীয় অধ্যায়', 'চরকি' ও 'ডাব চিংড়ি'র মতো বাংলা ছবিতে আপনি অভিনয় করেছেন। যে ছবিগুলোর পরিচালক আলাদা আলাদা। এটা ভেবে আপনার কেমন লাগছে যে আপনার জীবনের প্রথম ছবিগুলোর পরিচালক আলাদা আলাদা?  

অরুণাভ দে- এটা তো অবশ্যই আমার জীবনের প্রথম বছর, যে বছরে আমি ছবি করলাম। ২০১৯ সালে আমার তিনটে ছবি হয়েছে। যে তিনটে ছবির পরিচালক আলাদা আলাদা। এটা অত্যন্ত মজার বিষয়। তিনটে আলাদা পরিচালকের কাছে তিনটে আলাদা অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো ঐ পরিচালকেরা আমাকে নিতে পারেন ওটা পরের প্রসঙ্গ। কিন্তু এক বছরে তিনজন আলাদা পরিচালকের কাছে অভিনয় করে চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। যদিও তৃতীয় অধ্যায় আমার অনেকদিন আগেই শ্যুট করা হয়েছে। একদম প্রথম একটি কাজ। ২০১৭ সালে পুজোর সময় শ্যুটিং শুরু হয়েছিল৷ ২০১৯ এর প্রথম দিকে মুক্তি পায়। আশা করছি আগামীদিনে আরো নতুন নতুন পরিচালকদের সাথে অনেক কাজ করতে পারবো।     


লিটারেসি প্যারাডাইস- ২০১৯ এ বড়ো ব্যানারের ওয়েব সিরিজ 'কৃষাণু কৃষাণু', 'পাপ' ও 'হেডকোয়ার্টার লালবাজার' এ আপনাকে দেখা গেছে। এই ওয়েব সিরিজগুলোতে অভিনয়ের প্রসঙ্গে আপনি কী বলতে চান?    
    
অরুণাভ দে- বেসিক্যালি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ছিল সেই যে হলুদ পাখি৷ কেউ যদি অভিনয়ের মাধ্যমে আমাকে আইডেন্টিফাই করে থাকে তাহলে সকলে সেই যে হলুদ পাখির কথাই বলবে। যেটা ২০১৮ তে হইচইয়ে রিলিজ করেছিল। হইচই এ যখন আমাকে কেউ কাজ করতে বলে যে 'অরুণাভ একটা ভালো কাজ আছে, তুই কী করবি?'। আমি তখন শুনতেই চাইনা কী কাজ, কে কে আছেন তাতে, কে পরিচালক, কত টাকা আমাকে দেওয়া হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি প্রথমেই বলে ফেলি যে কাজটা করবো। কারণ হইচই এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যে প্ল্যাটফর্মটা আমাকে কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে চিনিয়েছে৷ হইচই এ পাপ ছাড়াও আগামীদিনে আরো যা কিছু হবে সেগুলো নিয়ে আমার কিছু বলার নেই৷ সেগুলো সবই আমার খুব প্রিয় কাজ৷ আমার করতে খুব ভালো লাগে। ওদের টিমটাও খুব ভালো। আর জি ফাইভের এই যে দুটো কাজ আমি করলাম এই বছর, অফিশিয়াল ওয়ার্ক। তার মধ্যে হেডকোয়ার্টার লালবাজার আগামী বছর মুক্তি পাবে৷ শ্যুটিং শেষ হয়ে গেছে। ঐ আবার একই ব্যাপার বলবো প্রোডাকশন টিম খুব ভালো ভাবে কাজ করেছে। এতো বড়ো একটা কাজ কৃষাণু কৃষাণু বা হেডকোয়ার্টার লালবাজার যে দুটোতে সিরিজে প্রায় একশোরও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করেছেন। বলতে গেলে একদম গ্র্যান্ড কাজ। কৃষাণু কৃষাণু তো একটি ঐতিহাসিক কাজ৷ সেই কাজে নিজেকে রাখতে খুবই ভালো লাগছে৷ লালবাজারেও তাই কারণ সায়ন্তন দা ওটা ডিরেকশন দিয়েছেন। সায়ন্তন দা খুবই ভালো পরিচালক। এই মুহূর্তে খুবই জনপ্রিয় পরিচালক। সবাই ওনার কাজে প্রশংসা দিচ্ছেন। যকের ধন হোক বা ব্যোমকেশ হোক কিংবা যা কিছু। দারুণ এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে আমার।     
  
                 
লিটারেসি প্যারাডাইস- অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৯ টা আপনার বেশ ভালো কেটেছে। দীর্ঘ এক বছরে এতগুলো শর্টফিল্ম, ওয়েব সিরিজ, নাটক ও বড়ো সিনেমাতে আপনার অভিনয়। এক বছরে এতগুলো কাজ কীভাবে সম্ভব করলেন?   
          
অরুণাভ দে- আমি তো পুরো সময়টাই অভিনয় করি৷ মানে প্রতিদিন ২৪ ইনটু ৭ ব্যাপারটার বিষয়টা যদি বলি, তাহলে আমি সারাদিনই অভিনয়ের মধ্যেই থাকি৷ বা আমার থিয়েটার দলে বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ বা অন্যান্য কাজ চলতে থাকে। ফলত আমার ফ্রী সময় বলে কিছু থাকেনা। আমি যখনই ফ্রী হই তখন কাউকে ফোন করি যারা অনেক আগে হয়তো আমাকে স্ক্রিপ্ট শুনিয়েছিল। আমি তাকে ফোন করে বলি স্ক্রিপ্ট নিয়ে এসো বা আমি যাচ্ছি একবার স্ক্রিপ্টটা পড়ে দেখতে৷ কীভাবে কাজটা করা যায় এভাবে পুরো বিষয়টা চলতে থাকে৷ ফলে ২০১৯ সালের খুব একটা সময় আমি ফ্রী হয়নি৷ ২০১৯ সালেই কলকাতাতে গেলাম। আমি তো ব্যারাকপুরের ছেলে। তাই কলকাতায় এসে থাকা শুরু করলাম কাজের গতিবেগটা যাতে আরেকটু বাড়ে। আমি দেখলাম কাজের গতিবেগটা অনেকটা বাড়লো। যেহেতু ফ্রী সময়টা একদমই চাই না নিতে। যখনই আমি ফ্রী থাকি তখনই অন্য একটা কাজ যেটা আগে কেউ হয়তো বলেছিল, যে কাজটা করার কথা ছিল সেটা একটু করে নিই৷ এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্কশপ হয়, স্ক্রিপ্ট রিডিং বা আরো অনেক কিছু হয়৷ শর্টফিল্মেও তো আছে কিছু একটা ব্যাপার। সেগুলোও টুকটাক চলে এর মধ্যে। সিরিজ, শর্টফিল্ম, বড়ো ছবি তো চলেই আর থিয়েটার যেটাতে সবথেকে বেশি সময় দিয়ে থাকি৷ সম্প্রতি দেবদাস বলে একটা নাটক হলো। সেখানেও বড়ো একটা ওয়ার্কশপ হওয়ার পরে আমাদের নাটকটাতে অভিনয় হলো। ফলত নাটক না থাকলে সিনেমা, সিনেমা না থাকলে নাটক, নাটক না থাকলে সিরিজ, সিরিজ না থাকলে শর্টফিল্ম। সারাদিন কিছু না কিছু লেগেই থাকে৷ হাতে কিছু কাজ না থাকলেও কাজ করার ব্যাপারটা লাগিয়ে রাখি।   


লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজ 'সেই যে হলুদ পাখি'। আপনার জীবনের সাথে কী কোথাও মিল পেয়েছেন এই সিরিজে?    
     
অরুণাভ দে- (মৃদু হেসে) সেই যে হলুদ পাখির আমার চরিত্রটার মধ্যে গ্রে সেইড রয়েছে। আমরা প্রত্যেকটা মানুষই গ্রে সেইড বহন করি৷ কেউ ভালো নয়, কেউ খারাপ নয়৷ প্রত্যেকের মধ্যেই ভালো-খারাপ মিশে আছে। তাই সেদিক থেকে দেখতে হলে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই গ্রে সেইড আছে। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক সেই যে হলুদ পাখি করতে গিয়ে আমার যেটা সুবিধা হয়েছে, টিটো যে ধরণের চরিত্রের ছেলে, শহরের বাইরে থেকে উঠে আসা একটা ছেলে, যে গান গাইতে চায়, থাকে একা আলাদা ভাবে, যে বড়ো স্বপ্ন দেখে একজন স্টার হবো সেই স্বপ্নের সাথে আমি আমার স্বপ্নের মিল খুঁজে পাই৷ সেজন্য মন্তব্য করতে সুবিধা হয়েছে যে টিটো আর আমি অলমোস্ট সিমিলার। টিটো মানুষ মারতে পারে, আমি মানুষ মারতে পারিনা। ছবির জন্য অভিনয়ের মধ্যে হয়তো মানুষ মারতে হয়েছে। তবে অনেকটাই মিল পাই। দুজনেই একই বয়সের ছেলে। টিটো করতে গিয়ে অনেকেই আমার বেশ কিছু দাদা-দিদি হয়ে গিয়েছিল৷ সেটা ত্রিধা দি হোক, গৌরব দা বা সোমনাথ হোক বা অপু কাকু মানে শ্বাশত চ্যাটার্জি হোক। ওদের সাথে রিয়েল লাইফেও ভালো সম্পর্ক আছে। এই দুটো মিল আছে টিটোর সাথে।   

                                    
লিটারেসি প্যারাডাইস- আগামী বছর 'আরণ্যক ও মুদ্রা রাক্ষস' নামের একটি ছবিতে আপনি অভিনয় করতে চলেছেন। এই ছবিটি আপনার কাছে কতটা চ্যালেঞ্জিং? 
        
অরুণাভ দে- অবশ্যই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সম্পূর্ণ নতুন একটি রোল আমার৷ অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক এ ছবিতে আমার সাথে অভিনয় করছে। অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিককে সকলেই চেনেন যে কাকাবাবু ও সন্তু ছবির সন্তু। আরিয়ান ভৌমিক তো আমার দাদার মতো হয়। তার কাছে নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পারছি। আমাদের ছবির শ্যুট শুরু হবে খুব শিগগির৷ কিছু পরিস্থিতি ঠিকঠাক ছিলনা বলে আমরা শ্যুটটা ডিসেম্বরে করতে পারিনি৷ ছবির শ্যুটিং ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগামী বছর শ্যুটটা শুরু হবে। ছবিটি আগামী বছর মুক্তি পাবে কিনা বলতে পারবো না। ওটা প্রযোজক ও পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন৷ আমি খুব একটা জানিনা৷ তবে রোলটা বেশ ইন্টারেস্টিং৷ একটা ছেলে যে একটু বোকা, সে একটা গোয়েন্দাকে সাহায্য করে নিজেও গোয়েন্দা হয়ে ওঠে৷ এভাবে একটা চরিত্রকে বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হচ্ছে। সবদিক থেকে বলতে গেলে চরিত্রটি বেশ মজার৷ 

                          
লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনি অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টফিল্ম ও নাটক পরিচালনা করেন। আপনি নিজের সফলতা হিসেবে অভিনয় নাকি পরিচালনা। কোনটাকে বেশি প্রাধান্য দিতে চান? 
         
অরুণাভ দে- অভিনয়টা অবশ্যই। কারণ আমি ছোটোবেলা থেকেই অভিনয় করার জন্য অনেকগুলো চরিত্র করতে হচ্ছে মানুষকে আমি দেখতে পাই। হয়তো আমি আমার প্রিয় অভিনেতাদের কথা বলছি। আমার প্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যারা আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রিরই অভিনেতা৷ তারা দেখছি এক এক রকম ছবিতে এক এক রকম পাঠ করছে ৷ বা নাটকেও আমি অনেককে দেখেছি আমার স্যার ব্রাত্য বসু উনি এক এক রকম নাটকে এক এক রকম পাঠ করছেন ৷ ফলত এভাবেই চরিত্র বদলাতে শুরু করছে। এরকম অনেকেই আছেন। বহু উদাহরণ রয়েছে যারা প্রত্যেকেই তাই। অভিনয়ের এ বিষয়টাই আমার খুব ভালো লাগে। একটা অভিনেতা, মানুষের একটা জীবনে এতগুলো কাজ মাঝেমধ্যে আমার বন্ধুদের বলি যারা এখন ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করছে ৷ আমি বলে থাকি একটা মানুষ একটানা কীভাবে অভিনয় করতে পারে? একজন অভিনেতা আজকে যে দেবদাস হলো, কালকে সে ম্যাকবেথ হলো, আবার কালকে সে রোমিও হলো, ডাক্তার হলো, কখনও খুনী হলো এই ব্যাপারটা অভিনয়ের জন্য আমার ভালো লাগে। কিন্তু পরিচালনার মজাটা হচ্ছে এটাই যে আমার নিজের একটা থিয়েটার দল রয়েছে। একটা কিছু গড়তে খুব ভালো লাগে৷ একটা কিছুকে নিজের হাতে বড়ো করতে খুব ভালো লাগে৷ এই যে একটা বড় জিনিস তৈরি হচ্ছে যা পরিচালকের কাছে আরামের৷ সিনেমা ডিরেকশন নিয়ে তেমন কোনো ভাবনাচিন্তা নেই। ঐ প্রজাপতি বলে একটা শর্টফিল্ম বানিয়েছিলাম ৷ সেই ছবিই এখন আস্তে আস্তে ফেস্টিভ্যালে যাচ্ছে। সিনেমার জন্য ঐটুকুই ৷ ভবিষ্যতে বেশ কিছু নাটক পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে ৷ আগামী দশ-কুড়ি বছরে আমি অভিনয়টাকেই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখবো সবসময়।    

                                                               
লিটারেসি প্যারাডাইস-আপনি সম্প্রতি ব্রাত্যজন নাট্যদলের সাথে নাটকে অভিনয় করলেন। এই নাট্যদলে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে আপনার কী মনে হচ্ছে?  


অরুণাভ দে- দূর্দান্ত এক্সপিরিয়েন্স। প্রচন্ড ভালো এক্সপেরিয়েন্স। বলতে গেলে এই বছরের সবচেয়ে সেরা প্রাপ্তি হলো ব্রাত্যজন নাট্যদলে অভিনয় করা। আমি থিয়েটার মূলত নিজের দলে করি। কলকাতার বেশ কিছু দলেও করতাম৷ আমাদের রবীন্দ্র ভারতীতে যেটুকু করানো হয় সেটুকুই৷ তবে এরকম একজন অভিভাবক ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তার থেকে শিখে অভিনয় করা এটা একটা অভিনেতার কাছে প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাত্য বসুর ব্রাত্যজনের মধ্যে গিয়ে এক্সপেরিয়েন্সটা পাওয়া। ওনার কাছ থেকে বকা খাওয়া, ওনার ভালো বলা এটা একজন অভিনেতার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ আমি এখন সেটা বুঝতে পারছি। ব্রাত্যজনে দেবদাসটা করে আমার থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। আগে যেখানে থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা দ্বিগুণ ছিল সেটা বেড়ে গিয়ে তিন থেকে চার গুণ হয়ে গিয়েছে। আমার এতোটাই ভালো লেগেছে কাজটি করে। আগামীদিনেও হয়তো বেশ কিছু কাজ করবো ওনাদের সাথে৷ ওনাদের পরিচালনা কিংবা নির্দেশনায়৷ তখন আরো ভালো অভিনয় শিখতে পারবো ৷  


লিটারেসি প্যারাডাইস- নতুন বছরটা আপনার কীভাবে কাটতে চলেছে?
  
অরুণাভ দে- এখন অবধি যেটুকু জানি যে নতুন বছর আমার কাটতে চলেছে অনেকগুলো থিয়েটারে অভিনয় করে। একটু পরেই নাটকে অভিনয় করতে বেরোবো৷ পুরানো নাটক ও নতুন নাটক তো রয়েইছে। আমাদের দেবদাস রয়েছে যার প্রচুর শো হবে। আমরা সবাই রাজা, হীরক শহর এই দুটো নাটক রয়েছে। এবং আরো একটি দল বলেছে আমাকে অভিনয়ের জন্য তাদের নাটকে। সেটা একটা মিউজিক্যাল প্লে ৷ আমারও খুব ইচ্ছা যে ব্রাত্য স্যারের সাথে আরো কিছু কাজ করা। তিনিও বলেছেন যে 'হ্যাঁ অরুণাভ তোমার সাথে আরো কাজ আমি করবো'। সুতরাং নতুন বছরে অনেকগুলো থিয়েটার হবে ৷ অনেক কিছু শিখতে পারবো প্রত্যেকের কাছ থেকে বিশেষত ব্রাত্য স্যারের কাছ থেকে। আরো অনেক শিক্ষা বাকী আমার। কাজেই থিয়েটার আমার অনেকগুলোই হচ্ছে ৷ প্রত্যেক মাসেই থিয়েটার থাকবে এই বছরটাতে ৷ আর সিনেমার ক্ষেত্রে কিছু নতুন নতুন সিরিজ হচ্ছে, সেগুলোতে আস্তে আস্তে আমাকে অভিনয় করতে বলছে। টেলিভিশনেও হয়তো একটা কাজ খুব শিগগিরী হবে। এখন অবধি বলতে পারবো না সেভাবে৷ আর একটি ছবি হওয়ারও কথা চলছে। আরণ্যক ও মুদ্রা রাক্ষস ছাড়াও আরেকটি ছবি৷ এই ছবিটি রিসেন্টলি বলা হয়েছে। নেক্সট ইয়ারের মাঝখানের দিকে শ্যুটিং হবে। এটাই নেক্সট ইয়ারের পরিকল্পনা। নেক্সট ইয়ার একটু নিজের জন্য ঘুরতে যাবো। মানে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার আমার প্রচন্ড ইচ্ছে ছিল। একবারও পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া হয়নি ৷ তো নতুন বছরে দু-তিনবার পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চাই।

প্রতিবেদন- সুমিত দে


  

No comments