Header Ads

বিশ্ব টি বোর্ডের তরফে প্রতি বছর ১৫ ই ডিসেম্বর উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক চা দিবস


চায়ের জন্য পাগল মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে অনেক রয়েছে। সকালবেলা চায়ে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিনটা ভালো যায়না। শীতের দিনে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে চায়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গরম চা সাথে বিস্কুট খাওয়ার মজাই আলাদা। স্বাদে ও গন্ধে চায়ের মাধুর্যই আলাদা। আজ রবিবার ছুটির দিন৷ আজ পাড়ার প্রতিবেশী বা বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডা চলবে দিনভোর। 



আজ ১৫ ই ডিসেম্বর চা পাগল মানুষদের জন্য জমিয়ে সারাদিন চা খাওয়ার বিশেষ দিন। আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস৷ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালাউই, ভারত ও তানজানিয়াতে প্রতি বছর উদযাপন করা হচ্ছে এই দিনটিকে ৷ ২০০৫ সাল থেকে উদযাপন করা হচ্ছে এই দিনটিকে৷ চা শিল্পের অর্থনৈতিক বিকাশ ও বিশ্ব বাণিজ্যে জোর দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালন করা হয় ৷ 

২০০৫ সালে ভারতের দিল্লিতে প্রথম উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক চা দিবস। এই বিশেষ দিনটির সাপেক্ষে কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয় বিশ্ব টি বোর্ডের তরফ থেকে৷ যেখানে বলা আছে প্রত্যেক চা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বছরের শেষে জানাতে হবে বছরের শেষে কোন তারিখে পাতা তোলা হয়েছে। এছাড়াও সবুজ চায়ের পাতা কবে শেষ প্রসেসিং করা হয়েছে। শেষ কবে চা প্রস্তুত করা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। বিশেষত অসাধু চায়ের সংস্থাগুলোর অনুন্নত চা রপ্তানি বন্ধ করতে এ নির্দেশিকা। 

আজ সারা বিশ্বের এগারোটি দেশসহ এ রাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার চা বাগানের শ্রমিক, উত্তরবঙ্গের কালচিনি সাঁওতালি চা বাগান ও দার্জিলিং এর বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক চা দিবস। চা দিবসের মাধ্যমে চা শিল্প নতুন করে বাঁচানোর আওয়াজ উঠলো৷ উত্তরবঙ্গে কয়েক বছর আগে চা শ্রমিকদের আন্দোলন চলেছিল। চা শিল্পের মালিকেরা অনেক কারখানাতে তালা লাগিয়ে রাখতো। মালিকদের সাথে শ্রমিকদের হাতাহাতিও লক্ষ্য করা যেত৷ উত্তরবঙ্গের চা-বাগানের সাথে জড়িত রয়েছে আন্দোলন, প্রতিবাদ, বঞ্চনার সুদীর্ঘ ইতিহাস। 

উত্তরবঙ্গে চায়ের শ্রমিকদের আন্দোলন, চা শিল্পের মালিকদের মধ্যে ঝামেলা আজকে নেই বললেই চলে৷ মালিক-শ্রমিকদের লড়াই চা শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। বর্তমানে রাজ্য প্রশাসনের সহয়তায় চা শিল্প লাভের মুখ দেখছে। চা শিল্পে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে চায়ের গুণগত মানে ৷

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments