Header Ads

২০০ বছরের পুরানো সিন্দুক থেকে খোঁজ মিলল প্রচুর দুষ্প্রাপ্য নথির


প্রায় ২০০ বছরের পুরানো সিন্দুক। আর সেখান থেকেই খোঁজ মিলল প্রচুর দুষ্প্রাপ্য নথির। কয়েকদিন আগেই সংস্কৃত কলেজে সংস্কারের কাজ চলাকালীন উদ্ধার হয় একজোড়া সিন্দুক। শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয় মিস্ত্রি। অনেক চেষ্টার পর খোলা যায় সেই সিন্দুক। আর তারপরই বেরিয়ে পড়ে মূল্যবান সেইসব 'রত্ন'!



সংগ্রহশালার এই সিন্দুকের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ১৮২৯ থেকে ১৮৩২ সালের হাজিরা খাতা। সে সময় একে 'মাস্টাররোল' বলা হত। এই খাতা দেখে জানা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও রোল নম্বর। কলেজে পড়াকালীন তাঁর ক্রমিক সংখ্যা ছিল- ২৬১/১। এই খাতার সব লেখাই ক্যালিগ্রাফে। মাস্টাররোল দেখে মনে করা হচ্ছে, সে সময় নামের সঙ্গে কোনো পদবি লেখা হত না।

তবে, সিন্দুক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্য হাতে এসেছে, তা হল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সময়কালে বিধবাদের জন্য তারি তহবিলের নথি। একটি কাগজ পাওয়া গিয়েছে যেখানে লেখা আছে, 'মুক্ত কেশী দেবী উইডো ফান্ড'। নথিটি জানাচ্ছে, এখান থেকে প্রতি বিধবাকে ৮ টাকা করে সাহায্য করা হত। যাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁরা আঙুলের ছাপ দিয়ে সেই টাকা নিয়েছিলেন বলেও প্রাথমিক ভাবো মনে করা হচ্ছে। অমানাবালা দেবী, নির্মালা দেবী, প্রমিলা দেবী, বীণাপাণী, প্রতিভাপাণী দেবী সহ আরও বেশ কিছু নাম রয়েছে সেই তালিকায়। 



বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত কিছু অভিযোগ পত্রও মিলেছে সিন্দুকে। একটি নথি থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৫৫ সালে শহরের কৃতী ছাত্রদের ভাতা দেওয়া হত ৫ টাকা করে। আরেকটি নথি বলছে, ১৯৪১ সালে গঙ্গামণি ও রাধাকান্ত স্বর্ণপদক দেওয়া হত, যা সে সময়ের ছাত্র নৃসিংহ প্রসাদ মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন। এছাড়াও আরও একাধিক নথি রয়েছে।

অন্যান্য নথির মধ্যে রয়েছে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির খতিয়ান। ১৯৫০ সালের চেক বুক, ১৯৪৬ সালের একাধিক নথি, ৭টি সিল করা খাম। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু রৌপপদক। মনে করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই পদকগুলি কোনো কারণে প্রাপকরা নিয়ে যাননি। ১৯৬৫ সালের একটি রুপোর মেডেলও পাওয়া গিয়েছে ওই সিন্দুকে।




No comments