Header Ads

রক্তদান নিয়ে এক অনন্য ভাবনাচিন্তার প্রতিফলন 'ব্লাডমেটস'



বেঁচে থাকতে হলে শরীরে দরকার অজস্র লিটার রক্ত। মানুষের অসুখ হলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে প্রয়োজন পড়ে রক্তের। এই রক্তের জোগান মানুষকেই দিতে হয়। এক মানুষ অপর মানুষকে রক্ত দিয়ে তার জীবন বাঁচায়। তাই রক্তদান মানেই হলো জীবন দান। প্রতি বছর বিভিন্ন সংঘ ও প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আয়োজন করে থাকে রক্তদান শিবিরের। রক্তদান নিয়ে সতর্কবার্তার কথাও ছড়ানো হয় রক্তদান শিবিরে৷ এই রক্তদান শিবির নিয়েই বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রিয়ম সেনগুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্লাডমেটস্ নামে একটি সংস্থা। 



২০১৩ সালে প্রিয়ম সেনগুপ্ত এককভাবে ব্লাডমেটস্ নিয়ে পথচলা শুরু করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০১৫ সালে উদ্বোধন হয় 'ব্লাটমেটস্' এর। এ সংস্থার উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের সব জায়গায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা। পশ্চিমবঙ্গের কারও কোথাও যদি রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে সেই রক্ত সঠিক সময়ে জোগাড় করে দেওয়া। আর রক্তদান নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। বর্তমানে ব্লাডমেটসের সদস্য সংখ্যা ১০১।    

সংগীত শিল্পী রূপম ইসলামের অনুপ্রেরণায় ব্লাডমেটসের জন্ম হয়। অ্যামেরিকান সফটওয়্যার সংস্থা 'নেপচুন সফটওয়্যার' বিশেষভাবে সহয়তা করে ব্লাডমেটসকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ব্লাডমেটসের শাখা। এখনও বেশ কিছু জেলাতে শাখা খুলতে বাকী রয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যজুড়ে খোলা হবে ব্লাডমেটসের শাখা। রাজ্যের বাইরে গুজরাটে খোলা হয়েছে ব্লাডমেটসের শাখা। 



সরকারের রক্তদান সংক্রান্ত যে নীতি, তা দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। সেটার বিরুদ্ধে সচেতন গড়ে তোলা। গোটা রাজ্যজুড়ে নতুন রক্তদাতা তৈরি করা। গুজরাটের পাশাপাশি ত্রিপুরা, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে শাখা অফিস প্রতিষ্ঠা। রক্তের দালালরাজ ভেঙ্গে ফেলা ইত্যাদি সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ব্লাডমেটসের তরফে।  

মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্লাডমেটস বদ্ধপরিকর। রক্তদান নিয়ে তারা একটা নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছে। কোনো মানুষ যাতে রক্ত দিতে না ভয় পায় তার জন্য ব্লাডমেটস কিছু সেমিনারের ব্যবস্থা করে থাকে। রক্তদানকে নব রূপ দিতে ব্লাডমেটসের উদ্দ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আগামীদিনে তাদের স্বপ্ন সত্যি হবে। মানুষ হয়েছি আমরা যখন মানুষের জন্য তো তখন কিছু তো করতেই হবে। অতএব সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ব্লাডমেটসের মত প্রতিটি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।  



প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments