Header Ads

প্রতিটি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় আঞ্চলিক ভাষাতে করার দাবী জানালো বাঙালি ছাত্রযুব সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি


বাংলা ভাষার অধিকার নিয়ে সম্প্রতি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে একাধিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন। সর্ব ভারতীয় যে-কোনো পরীক্ষায় কেবল হিন্দি ও ইংরাজিতে করা হচ্ছে। এর ফলে ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অহিন্দি জাতির মানুষেরা। হিন্দিভাষীরা মাতৃভাষায় পরীক্ষা হওয়ার দরুণ সমস্ত সুবিধা পাচ্ছে। এদের কবলে বারবার অত্যাচারিত হতে হচ্ছে অহিন্দি জাতিদের। 


ভারতের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে ব্রাত্য রেখে ইংরেজি ও হিন্দিকে স্থান দিয়েছে। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে অহিন্দি ভাষীদের কাছে আশঙ্কার কালো মেঘ বিরাজ করছে। কেন্দ্র সরকার এক দেশ এক ভাষা প্রয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ভারতের সংবিধানে কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্রভাষার উল্লেখ নেই। অথচ কেন্দ্র সরকার বারবার হিন্দি রাষ্ট্রভাষা বলে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে দেশজুড়ে। যা ভারতীয় সংবিধানকে বিশেষভাবে খর্ব করা হচ্ছে। 

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে বাংলা অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এই দাবী নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিল বাঙালি  ছাত্রযুব সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। তারা জানিয়েছেন যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক, রেল, আইপিএস, আইএস প্রত্যেকটি বড়ো পরীক্ষায় মাতৃভাষার অগ্রাধিকার দিতে হবে। মাতৃভাষাতেও জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। নিজ ভাষা থাকা সত্ত্বেও কেন বারবার অন্য ভাষার ওপর বাঙালিকে নির্ভর করতে হবে। কেন্দ্র সরকার বারবার হিন্দি আগ্রাসনের পক্ষে রায় দিয়েছে। অহিন্দি জাতির কথা তারা একদমই ভুলে গেছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে বাংলাকে স্থান দেওয়া হোক। যদি তা না হয়। তাহলে আগামীদিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। 

বাঙালি ছাত্রযুব ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি দীর্ঘদিন ধরে  এমনই সব দাবী নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলা ও বাঙালির অধিকার কায়েম করতে তারা ত্রিপুরার বাঙালি সমাজকে পথ দেখাচ্ছে। বাংলা ও বাঙালির অধিকার হরণের লড়াইতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক জানিয়েছে তারা। 

বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চার কথা বলেছেন। আরো অসংখ্য মহাপুরুষেরাও একই কথা বলেছেন। মাতৃভাষাতে যখন সব কাজ সম্ভব তার জন্য অন্যান্য ভাষার ওপর নির্ভর করা নিছকই বোকামি। তাই বাঙালি ছাত্রযুব সমাজ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি একদম সঠিক পথে বাংলা ভাষার দাবী নিয়ে পথে নেমেছে।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments