Header Ads

মুর্শিদাবাদের শেরপুরে মাইলফলক থেকে উধাও বাংলা


মাইলফলক থেকে উধাও বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ বাঙালির রাজ্য হলেও এরকম ঘটনা আজকাল চোখে পড়ছে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ এভাবে থাবা বসাচ্ছে একটু একটু করে। মুর্শিদাবাদের শেরপুরে মাইলফলক লেখা আছে হিন্দিতে। যেখানে আটানব্বই শতাংশ মানুষই বাঙালি।
  
       
মাইলফলকে বাংলা উধাও হওয়ার ঘটনা আজই প্রথম নয়। এর আগে কলকাতার বারাসাত সহ অনেক জায়গাতেই একই ঘটনা চোখে পড়েছিল। যার বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিবাদ চালাচ্ছে বাংলা পক্ষসহ অসংখ্য বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন। বারবার শিক্ষিত সমাজ প্রশ্ন তুলছে যে বাঙালির রাজ্যে বাংলা কেন ব্রাত্য থাকবে? 

মাইফলকের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাইওয়ে থেকেও ক্রমশ বাংলা হারিয়ে আছে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাঙালিকে বানাতে চাইছে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। চাকরি থেকে পুঁজি সবক্ষেত্রেই কেড়ে নেওয়া আছে বাঙালির অধিকার। এর পিছনে মদত দিচ্ছে বহু রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গের অফিশিয়াল ভাষা যেখানে বাংলা সেখানে বাংলাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। 

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতেও হিন্দি আগ্রাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে। তবে দক্ষিণ ভারতের মানুষের মাতৃভাষার প্রতি অতিরিক্ত সচেতনতার জন্য হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ থাবা বসাতে পারেনা। কিন্তু বাঙালির মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। 

আজকে মাইলফলকে বাংলা নেই৷ কালকে হয়তো রাজ্যের অফিশিয়াল ভাষায় হয়তো বদলে ফেলার চেষ্টা করবে কোনো একটা রাজনৈতিক দল। যদিও এটা অসম্ভব। কারণ দীর্ঘ এক বছরে বাংলাতে যেভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তির অভুত্থান ঘটছে তাতে করে বাঙালিরা ধীরে ধীরে সচেতন হবে বাংলা ভাষার প্রতি। 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, নজরুল ইসলামের মাতৃভাষা বাংলা। তোমার বা আমার মাতৃভাষাও বাংলা। তাই বাংলা মায়ের সন্তান হয়ে প্রত্যেকটি বাঙালির উচিৎ বাংলা ভাষা আক্রান্ত হলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments