Header Ads

বাঙালি শিল্পীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠলো টেলিকম সংস্থা জিও'র বিরুদ্ধে


সংগীত শিল্পী দীপেন্দু হালদারকে হেনস্থা জিও'র কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির। কেবলমাত্র বাংলায় কথা বলতে চাওয়ার অপরাধে তাকে অপমানিত করা হয়। বীভৎস সব ভাষায় গালিগালাজ করা হয় ঐ শিল্পীকে। টেলিকম সংস্থা জিও'র কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি দীপেন্দু হালদারকে কথা বলতে বলেন গুজরাট বা হিন্দিতে।


দীপেন্দু হালদার বলেন যে 'কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি আমাকে হিন্দিতে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমার একটাই অপরাধ যে আমি গুজরাটি বা হিন্দিতে কথা না বলে বাংলায় কথা বলতে চেয়েছিলাম'। 

বাঙালি সংগীতশিল্পীকে এভাবে হেনস্থার মাধ্যমে জাতিবিদ্বেষের পরিচয় দিলো কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদকে প্রমোট করতে এদেরকেও বিশেষভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেবল ইনিই নন আরো অজস্র মানুষকে একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এদের কারণে। 

জিওতে বাংলাতে পরিষেবা দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকে। কাস্টমার কেয়ারে কল করলে বাংলার জন্য বিশেষ বোতামের ব্যবস্থা থাকে। অথচ দীপেন্দু হালদার বাংলাতে পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট বোতাম টিপলেও বাংলায় পরিষেবা পাওয়া যায়নি। জিও'র বাঙালির কাস্টমারের জায়গায় ফোন ধরেন গুজরাটি কাস্টমার। এরপর গুজরাটিতে কথা বলতে শুরু করেন দীপেন্দু হালদারের সাথে। তিনি ঐ প্রতিনিধিকে বাংলাতে কথা বলতে অনুরোধ করলে অশালীন ভাষায় হিন্দিতে গালিগালাজ করতে থাকেন। তারপর বাঙালি কাস্টমারকে ফোন দেবার নাম করে এক ঘন্টা সময় অতিক্রম করে হঠাৎ ফোনটা কেটে দেয়। 

কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির এমন হেন আচরণে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ তিনি। তার কাছে সমস্ত কল রেকর্ডস রয়েছে। যা প্রমাণের সাক্ষী হিসেবে কাজে দেবে। তিনি জিওকে অভিযোগের কথা জানালেও তারা এ বিষয়ে একটিও মন্তব্য করেনি। আজকে এনার সাথে কালকে আপনার সাথেও হয়তো একই ঘটনা ঘটতে পারে। কাজেই আপনিও নিজের মাতৃভাষার ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকুন। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments