Header Ads

'কফির টানে বই' বোলপুরের পঞ্চব্যঞ্জন ক্যাফের অভিনব উদ্যোগ


আধুনিক যুগে বইয়ের প্রতি পাঠকদের নেশা যাতে না হারিয়ে যায় তার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিল বোলপুরের পঞ্চব্যঞ্জন রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে। রেস্টুরেন্টের মধ্যে বানানো হয়েছে গ্রন্থাগার। কিছুদিন আগে বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছেন এই রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেটির।  



রেস্টুরেন্টের কফির দাম চল্লিশ টাকা। কোনো ব্যক্তি যদি রেস্টুরেন্টের গ্রন্থাগারে বই পড়েন তাহলে কফি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এরকম উদ্যোগ এর আগে খুব একটা কোথাও দেখা যায়নি। এই উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে একটা বিশেষ বৈচিত্র্য। বই ও কফির মেলবন্ধনে সাজানো হয়েছে ক্যাফেটি। সাহিত্য অনুরাগী ও বইপ্রেমী মানুষদের স্বাগত জানানো হয়েছে এই রেস্টুরেন্টে। 

ইন্টারনেটের যুগে মানুষ সারাক্ষণ ফেসবুক ও টুইটারে ব্যস্ত। কাজেই বই পড়া অনেকটা কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ওয়েব বুক বা পিডিএফ পড়ার ঝোঁক অনেকটা বেড়ে গেছে। শহরের বিভিন্ন লাইব্রেরিগুলোতে পাঠকদের সংখ্যা ক্রমশ হারাচ্ছে। এর ফলপ্রসূত কিছুটা কোণঠাসা হচ্ছে মলাট বাঁধানো যে-কোনো রকমের বইগুলো। একসময় মানুষের মনে বই পড়ার একটা আলাদা আনন্দ ছিল। সেটা কোথাও না কোথাও হলে একটু পরিবর্তিত হয়েছে। 

বোলপুরের পঞ্চব্যঞ্জন রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে বইপ্রেমী মানুষদের পুরানো দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে উঠে পড়ে লেগেছে। বই পড়া কমলেও লোকেরা কেউ আড্ডা দিতে ভোলেননি। কাজেই আড্ডা দিতে তারা বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়াতে যায়। এই ক্যাফের সাথে যদি বই রাখা যায়। বা বই পড়লে যদি কফি ফ্রি দেওয়া হয়। তাহলে কফি খাওয়ার লোভে কিছু মানুষ বই পড়তে এখানে ছুটে আসবেন। 

রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তাদের আশ্বাস যে আগামীদিনে অসংখ্য মানুষ এখানে ভিড় করবেন বই পড়তে। ফলে বই পড়ার আনন্দটা কিছুটা হলেও তাদের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে। কফির টানে মানুষ বই পড়তে এগিয়ে আসবে। মানুষের সহযোগীতায় রেস্টুরেন্টের গ্রন্থাগারটি একদিন তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করবে। কফির টানে বই পড়ার ঘটনা এর আগে বাংলাতে কোনোদিনও ঘটেনি। এবার একটা নতুন দৃশ্যের জন্য সাক্ষী থাকবে বোলপুর। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments