দেশবাসীর সন্মান রক্ষায় চার ব্রিটিশ অফিসারকে ধরাশায়ী করেছিলেন বাঘাযতীন
১৯০৭ সালে বিশেষ কর্ম-দায়িত্ব নিয়ে হুইলারের সচিবদের সঙ্গে তিনি সপরিবারে দার্জিলিংয়ে স্থানান্তরিত হলেন। সমস্ত উত্তর বাংলার মতো এখানেও তিনি "অনুশীলন"-এর সক্রিয় শাখা স্থাপন করেছিলেন। ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্যাপ্টেন মার্ফি ও লেফটেন্যান্ট সমারভিল প্রমুখ চারজন সামরিক অফিসারের সঙ্গে তাঁর মারপিট হয় শিলিগুড়ি স্টেশনে। চারজনের চোয়াল ভেঙ্গে ধরাশায়ী করে দেবার অপরাধে মামলা রুজ্জু হলে বাংলায় বিক্ষোভ শুরু হয় -কাগজে কাগজে এই নিয়ে লেখালেখির বহর দেখে সরকার চাপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে।
ঠাট বজায় রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে শাসিয়ে দেন, "এমনটি আর যেন না ঘটে!"
দর্পভরে তিনি জবাব দেন: "নিজের সম্মান বা দেশবাসীর সম্মান বাঁচাতে যদি প্রয়োজন হয়, এমনটি যে আবার করব না, এ শপথ আমি করতে অপারগ।"
কিছুদিন পর হুইলার একদিন ঠাট্টা করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন: "আচ্ছা, একা হাতে ক'টা লোককে আপনি শায়েস্তা করতে পারেন?"
হেসে তিনি বলেন, "ভাল মানুষ হয় যদি, একটাও নয়; দুর্বৃত্ত হলে যতগুলি খুশি সামলাতে পারব।"
বাংলার ইতিহাসে বহু মহান বিপ্লবী এসেছে। তাদের শ্রেষ্ঠত্বের তালিকা তৈরী হলে প্রথম তিনজনের মধ্যেই আসবে তাঁর নাম। তিনি যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। লোকে তাঁকে বাঘাযতীন বলেই চেনে।
Post a Comment