Header Ads

হিন্দু মুসলিম ঐক্য গড়ে তুলতে "বেঙ্গল প্যাক্ট" সম্পাদন করেছিলেন, আজ দেশবন্ধুর জন্মদিন


তিনি নেতাজীর রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু। আলিপুর বোমা মামলায় ঋষি অরবিন্দের ত্রাতা। ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলায় বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষের উপর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। চিত্তরঞ্জন দাশ বিনা পারিশ্রমিকে এই মামলায় লড়েন। তখন তাঁর মাসিক আয় ছিল পাঁচ হাজার টাকা। আর এই মামলা পরিচালনা করতে তাঁকে চল্লিশ হাজার টাকা দেনা করতে হয়েছিল। অরবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে এই মামলা চলে ১২৬ দিন। দু’শর বেশী সাক্ষীকে জেরা করা হয়। ৪০০০ কাগজপত্র এবং ৫০০ জিনিসপত্র প্রমাণ হিসেবে হাজির করা হয়। চিত্তরঞ্জন দাশ ৯ দিন ধরে তাঁর সওয়াল জওয়াবের সমাপ্তি বক্তব্য দেন। এই মামলায় তিনি যে সওয়াল জবাব দেন তা ছিল জ্ঞান ও দেশপ্রেমের অপূর্ব নিদর্শন। বিচারের রায়ে অরবিন্দ ঘোষ মুক্তি পান।বিনা পয়সায় লড়েছিলেন পুরো মামলাটি।



সেই তিনিই বুঝেছিলেন ইংরেজদের কূটনৈতিক চালে জড়িয়ে পড়ছে ভারত। ভাগ হয়ে যাচ্ছে হিন্দু মুসলিমে। সম্প্রীতি রক্ষা করতে নেমে পড়েছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। ১৯২৩ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ বাংলার জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেন। বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ঐক্যের আহ্বান সমগ্র বাঙালিকেই প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। তিনি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির মুখ্য প্রতিনিধি রূপে আত্মপ্রকাশ করেন এবং হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের লক্ষ্যে ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ নামে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদনা করেন যা বাংলার হিন্দু-মুসলমান নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। এ চুক্তিতে মুসলমান মধ্যবিত্তের অনগ্রসরতা দূর করার বিশদ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত হয়। সম্ভবত এ চুক্তির কারণেই ১৯২৩ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত আইন সভা নির্বাচনে চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত রাজনৈতিক দল স্বরাজ্য বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে। আর বিজয়ী আইনসভা সদস্যদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় সমান সমান। চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন কলকাতা করপোরেশনের প্রথম মেয়র।

চিত্তরঞ্জন দাশ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭০ সালের ৫ ই নভেম্বর, অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরের তেলিরবাগ গ্রামে। বাবা ভুবনমোহন দাশ। মা নিস্তারিণী দেবী। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। চিত্তরঞ্জন দাশের বাবা কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নী ছিলেন। তিনি উচ্চ সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্বের অধিকারী। রাজনীতি সচেতন ও দাতা স্বভাবের এই মানুষটি সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতেন। চিত্তরঞ্জন দাশ ছোটবেলা থেকেই বাবার গুণগুলো নিজের জীবনে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেন। চিত্তরঞ্জন দাশের মা নিস্তারিণী দেবী উচ্চ শিক্ষিত না হলেও, তিনি ছিলেন উচ্চমনের অধিকারী। চিত্তরঞ্জন দাশের বাবা দাতা স্বভাবের হওয়ার কারণে তাঁদের পরিবারে একসময় অভাব-অনটন দেখা দেয়। কিন্তু তাঁর মা পরিবারের এই অভাব সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করেন।

প্রাথমিক পড়াশুনা শেষ হওয়ার পূর্বে চিত্তরঞ্জন দাশ শৈশবে তাঁর বাবার সাথে কলকাতার ভবানীপুরে চলে আসেন। ১৮৭৯ সালে তিনি ভবানীপুর লন্ডন মিশানারি স্কুলে ভর্তি হন। চিত্তরঞ্জন দাশ শৈশবে বিপিন চন্দ্র পালের সংস্পর্শে আসেন। তাঁর প্রভাবে চিত্তরঞ্জন দাশ দেশাত্মবোধক গান ও কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে উঠেন।

চিত্তরঞ্জন দাশ ১৮৮৬ সালে লন্ডন মিশানারি স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। এরপর ভর্তি হন প্রেসিডেন্সী কলেজে। এই কলেজে পড়ার সময় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। কলেজ জীবনে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজের সুরেন্দ্রনাথ প্রবর্তিত স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য হন। একপর্যায়ে তিনি এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৮৯০ সালে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য বিলেত যান। ১৮৯৩ সালে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে দেশে ফিরে আসেন এবং আইন পেশা শুরু করেন। পেশা জীবনের শুরুতে তাঁর সামান্য আয় হত। ট্রামভাড়ার সামান্য পয়সা বাঁচানোর জন্য তিনি হাইকোর্ট থেকে ভবানীপুর হেঁটে যেতেন। ১৮৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বিজনী রাজকোর্টের বরদাপ্রসাদ হাওলাদারের কন্যা বাসন্তী দেবীকে বিয়ে করেন।

আইন পেশার পাশাপাশি তিনি গোপনে গোপনে বিপ্লবী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ১৯০৩ সালে কলকাতায় প্রমথ মিত্র ও চিত্তরঞ্জন দাস প্রথমে ‘অনুশীলন সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি এই সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন। অরবিন্দ ঘোষের ‘বন্দে মাতরম’ পত্রিকার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল।

আইনজীবী হিসেবে চিত্তরঞ্জন দাশ সিভিল কোর্টের প্র্যাকটিসের পরিবর্তে ক্রিমিনাল কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন কিন্তু যে কোনো ব্যারিস্টারের চেয়ে ফি নিতেন কম। গরীব মক্কেলের কাছ থেকে কোনো টাকা নিতেন না। তিনি সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ নিতেন। অনেক সময় দেখা যেত যার পক্ষ নিয়েছেন তিনি দোষী, তখন ওই দোষী ব্যক্তিকে দোষী প্রমাণ করে দিতে দ্বিধাবোধ করতেন না। যে ব্যক্তিই তাঁর কাছে মামলা নিয়ে এসেছেন তিনিই সবার কাছে তাঁর মহত্বের কথা, বুদ্ধিমত্তার কথা, সততা ও সেবার কথা প্রচার করে বেড়িয়েছেন। আইনজীবী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করার পর চিত্তরঞ্জন দাশ মফঃস্বল ছেড়ে কলকাতায় প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং পুনরায় সিভিল কেসগুলো পরিচালনা করে বেশ সাফল্য পান। সাথে সাথে রাজনীতিতেও পূর্বের চেয়ে বেশী সময় দেন। যার ফলে ১৯০৬ সালে কংগ্রেসের কলকাতা প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি।

চিত্তরঞ্জন দাশ অর্থ উপার্জনের জন্য রাজনৈতিক মামলার পাশাপাশি মাঝে মাঝে জমিদার, মহাজনদের মামলাও পরিচালনা করতেন। উপার্জিত অর্থ তিনি গরীব-অসহায় জনগণকে দিতেন এবং তা দিয়ে দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের মামলা পরিচালনা করতেন। একবার ডুমরাওনের মহারানীর মৃত্যুর পর রাজা কেশোপ্রসাদ তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার না হতে পেরে মামলা করেন। এই মামলায় চিত্তরঞ্জন দাশ প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা পেতেন। আর মামলায় জয়ী হওয়ার পর রাজা কেশোপ্রসাদ খুশি হয়ে চিত্তরঞ্জন দাশকে ৫০,০০০ টাকা দেন।

১৯১০ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ ‘ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা’ পরিচালনা করেন। এই মামলার মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার অনুশীলন সমিতির প্রধান পুলিন বিহারী দাশ এবং সঙ্গীদেরকে নির্বাসন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু চিত্তরঞ্জন দাশ এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন। তাঁর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ৬ মাসের শাস্তি এবং ৩৩ জনের মধ্যে ১১ জনের তুলনামূলক কম শাস্তি হয়েছিল।

১৯১৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দিল্লী ষড়যন্ত্র মামলা’ পরিচালনা করেন। এই মামলার মাধ্যমে তিনি ভারতবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ‘দিল্লী ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ১৪ জন বিপ্লবীকে লর্ড হার্ডিঞ্জ হত্যা প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত করে। কিন্তু চিত্তরঞ্জন দাশের তীক্ষ্ণ যুক্তির কাছে ইংরেজ সরকার হেরে যায়।

১৯১৮ সালে ‘আলিপুর ট্রাঙ্ক মার্ডার কেস’ মামলা থেকে তিনি পাঁচ জন ব্যক্তিকে মুক্ত করেন। ওই বছর চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা হল ‘অমৃতবাজার পত্রিকা মামলা’। কলকাতা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ অভিমত প্রকাশ করে যে, কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট কোনো ব্যক্তিগত জমি রাখতে পারবে না। একই সময় হাইকোর্টে অন্য একজন বিচারক রায় দেন যে, কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট সেই ক্ষমতা রাখে। কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকা অমৃতবাজার এ ব্যাপারে মন্তব্য করে সম্পাদকীয় ছাপে। পত্রিকাটি স্পেশাল বেঞ্চের গঠন সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলে। এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতি অমৃতবাজারকে শোকজ করেন এবং আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’ তখনকার কলকাতা বারের প্রখ্যাত আইনজীবীদের নিযুক্ত করে। মি. জ্যাকসন, মি. নরটন, ব্যোমকেশ চক্রবর্ত্তী এবং চিত্তরঞ্জন দাশ এই মামলায় নিযুক্ত হন। কিন্তু পরবর্তীতে একমাত্র চিত্তরঞ্জন দাশ ছাড়া আর কেউই মামলা পরিচালনা করার জন্য ছিলেন না। তিনি একাই অমৃতবাজার পত্রিকার পক্ষে লড়েন এবং বিচারকদের রায় চিত্তরঞ্জন দাশের পক্ষে অর্থাৎ অমৃতবাজার পত্রিকার পক্ষে যায়।

ব্রিটিশের নানা টালবাহানার পর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের জন্য সর্ব-ভারতীয় কংগ্রেস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মহাত্মা গান্ধী, সদস্য ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ, মতিলাল নেহেরু, আব্বাস তৈয়্যবজী এবং ড. জাকির হোসেন। তদন্ত কমিটির অধিকাংশ খরচ বহন করেন চিত্তরঞ্জন দাশ। তিনি তদন্ত কমিটিতে তাঁর প্রজ্ঞার পরিচয় দেন। যে কারণে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল।

১৯২০ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সময় আইনসভা বর্জন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিজেই অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব কংগ্রেস অধিবেশনে উত্থাপন করেন এবং গান্ধীজীর ডাকে ব্যারিস্টারি পেশা ত্যাগ করে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। স্বয়ং ভারত সরকার প্রখ্যাত মিউনিশনস বোর্ড ঘটিত মামলায় প্রচলিত নজীর উপেক্ষা করে সাহেব এডভোকেট জেনারেল অপেক্ষা অধিক পারিশ্রমিক দিয়ে তাঁকে সরকারি কৌসুলী নিযুক্ত করেন। অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি এ দায়িত্ব পরিত্যাগ করেন। এই অসামান্য ত্যাগের জন্য ভারতবর্ষের জনগণ কর্তৃক তিনি ‘দেশবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯২১ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য তিনি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। পরের বছর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গয়া কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় তিনি ১৯২২ সালে কংগ্রেসের সভাপতিত্ব ত্যাগ করেন। এরপর তিনি স্বরাজ্য দল গঠন করেন। মতিলাল নেহেরু এবং দেশবন্ধুর নেতৃত্বে এই দল ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।

১৯২৪ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দমানোর জন্য ব্রিটিশ সরকার ‘১ নং বেঙ্গল অর্ডিনান্স’ নামে এক জরুরি আইন পাশ করে। তখন চিত্তরঞ্জন দাশ নিজ বাড়িতে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির বৈঠকের আহ্বান করেন। গান্ধীজী উপলব্ধি করেন স্বরাজ্য দলকে দমনের জন্যেই এই অর্ডিন্যান্স পাশ করা হয়েছে। এরপর থেকে গান্ধীজী দেশবন্ধুকে অকুণ্ঠ সমর্থন জ্ঞাপন করেন। চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৪ ও ১৯২৫ সালে পরপর দুবার মেয়র নির্বাচিত হন।

রাজনীতির মধ্যে থেকেও তিনি নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করতেন। সে সময়ের বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা ‘নারায়ণ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন তিনি। ‘মালঞ্চ’, ‘সাগর সঙ্গীত’ ও ‘অন্তর্যামী’ গ্রন্থের জন্য তিনি কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৫ সালের ১৬ ই জুন, দার্জিলিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর পৈতৃক বসতবাড়িটি জনসাধারণের জন্য দান করে যান। সেখানে ‘চিত্তরঞ্জন সেবাসদন’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

তাঁর প্রয়াণ সংবাদে শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সম্বন্ধে বলেনঃ

"এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।।"


No comments