Header Ads

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'দিনরাত্রির গল্প' দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকল দর্শক


থিয়েটার ভর্তি মানুষ। পর্দায় ভেসে উঠছে বেশ কিছু চলমান চিত্র। দর্শকদের চোখ পর্দার ওপর। প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দর্শকবৃন্দ উপভোগ করছে 'দিনরাত্রির গল্প'। সময় বয়ে চলে নদীর স্রোতে। ঘড়ির কাঁটা বেজে উঠছে টিকটক করে। দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এলো ছবির শেষ দৃশ্য। এরপর দর্শকদের সাড়া দেওয়ার পালা। অকস্মাৎ দর্শকদের আসন থেকে উড়ে এলো কর্ণভেদকারী জোরালো হাততালির আওয়াজ।   


কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আজ প্রদর্শিত হলো সুপ্রীতি চৌধুরী প্রযোজিত পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরীর ছবি 'দিনরাত্রির গল্প'। যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে প্রথম স্পেস ফিল্মও কিছুটা বলা যেতে পারে। সাসপেন্স থ্রিলার ও সায়েন্স ফিকশন মিশ্রিত নতুন চিন্তাভাবনার এই ছবিটি দর্শকদের হৃদয় ছিনিয়ে নিল। সকলেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। 

সায়েন্স ফিকশন সাসপেন্স থ্রিলার নিয়ে চলচ্চিত্র দেখার আগ্রহ প্রায় বেশিরভাগ হাতে-কলমে শিক্ষিত মানুষের মধ্যেই রয়েছে। বাঙালি দর্শক এতোদিন পর্যন্ত হলিউডে দেখে এসেছে এই ধরণের ফিল্ম। বাংলা ভাষাতে তারা সায়েন্স ফিকশন সাসপেন্স থ্রিলার ফিল্ম দেখার সুযোগ খুব কম পেয়েছে।কিন্তু আজ যখন মাতৃভাষা বাংলাতে তারা সায়েন্স ফিকশন সাসপেন্স থ্রিলার ছবি দেখার এতোবড়ো সুযোগ পেল পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরীর কাছ থেকে, তখন এর থেকে বেশি আনন্দ আর কিছুতেই নেই। 

'দিনরাত্রির গল্প' কোনো বড়ো বাজেটের ছবি নয়। কয়েকজন মানুষের সৎ সাহস ও পরিশ্রমের ফসল এই ছবি। বাজেট অল্প হলেও এ ছবি টেক্কা দিতে পারে বিগবাজেটের যে-কোনো ছবিকে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্মিত হয়েছে এ ছবি। স্বাধীন ছবি বানানো সাধারণত কঠিন ব্যাপার তার ওপর স্বাধীন ছবি হিসেবে সায়েন্স ফিকশন সাসপেন্স থ্রিলার আরো বেশি জটিল। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মহাকাশের পাশাপাশি সাসপেন্স থ্রিলারকে জুড়ে এমন প্লটের ছবি বাংলায় খুব কম হয়েছে। ছবির গল্প তাক লাগানোর মতো। এ ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের এমন সৎ সাহস বাংলা চলচ্চিত্রকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

'দিনরাত্রির গল্প' ছবির মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো যে বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন প্রজন্মের যারা ছবি বানাচ্ছেন, তারা প্রচন্ড সাহসী। তারাই একমাত্র পারবে বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বসভায় পৌঁছে দিতে। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদশর্নে দর্শকের গভীর আগ্রহ থেকে খুশী পরিচালক থেকে শুরু করে এ ছবির সাথে যুক্ত সকল কলাকুশলীরা।          
           
প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments