Header Ads

গ্রামাঞ্চলে শুরু হলো খেজুর রসের হাঁড়ি টাঙানো


অগ্রহায়ণ মাসের সবে সূচনা পর্ব। এই মাস থেকেই শুরু হয় হালকা শীতের আমেজ। অগ্রহায়ণ পার হলেই পৌষের সূচনা হবে। পৌষ মানেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডার আবির্ভাব। 'পৌষের রাত বাঘের গায়' একথা আমরা সকলেই জানি। পৌষ মাসের ঠান্ডার যে উত্তেজনা থাকে তাতে বাঘও পৌষের ঠান্ডাকে ভয় পায়। 


শীতে শরীর গরম রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে কিছু পানীয়। তাই আমরা শীতের সকালে চা পান করে থাকি৷ গ্রামের দিকে শীতে প্রতিদিন সকালে খেজুর রস পাওয়া যায়। যার শীতল ছোঁয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যায়। স্বাদে খেজুর রস যেন অমৃততুল্য। খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় মানুষের ভিড় লেগে যায়। এই খেজুর রসকে বিভিন্ন জায়গায় গরম করে খেজুর গুড় বানানো হয়। 

হালকা শীতের আমেজ সারা রাজ্যে। আর শীতের হালকা আমেজ এলেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছে খেজুর রসের হাঁড়ি ঝোলানোর ব্যস্ততা লেগে যায়। গ্রামের প্রতিটি খেজুর গাছে একটি করে হাঁড়ি ঝোলানো হয়। দুপুরের রৌদ্রের তাপ যখন কিছুটা কমে আসে ঠিক সেই সময় গ্রামের লোকেরা খেজুর গাছে হাঁড়ি টাঙায়। গাছের উপরিভাগের কিছুটা অংশ কাস্তে দিয়ে প্রথমে চেঁছে ফেলা হয়। এরপর হাঁড়ির মুখে ভালো ভাবে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে যত্ন সহকারে হাঁড়িটি টাঙিয়ে ধীরে ধীরে লোকেরা গাছ থেকে নেমে আসে৷ পরের দিন ভোর চারটের সময় আবার গাছে উঠে হাঁড়িটি নামিয়ে নেওয়া হয়। সকাল হলে গ্রামবাসীদের নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করা হয় খেজুর রস। 

প্রতি বছরের মতোই চলতি বছরেও অগ্রহায়ণের সূচনা হতে না হতেই গ্রামাঞ্চলে ধূম লেগে গেছে খেজুর রসের হাঁড়ি টাঙানোর। জোরকদমে চলছে খেজুর রস বিক্রির কাজ৷ এই সময় গ্রামের বেশ কিছু লোকেরা খেজুর রস ও খেজুর গুড় বানিয়ে মোটা টাকা সংগ্রহ করে৷ কাজটা উপর থেকে অনেকটা সহজ মনে হলেও খেজুর রস ও খেজুর গুড়ের জন্য হাজারো কষ্ট করতে হয় গ্রামের কিছু লোকেদের। শীতের ভোরে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা জয় করে তাদের এ কাজে মনোনিবেশ করতে হয়।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments