Header Ads

আবারো কলকাতার বুকে চাকুরীতে ব্রাত্য বাঙালি


আবারো কলকাতার বুকে চাকুরীতে ব্রাত্য বাঙালি। কলকাতায় বারবার চাকুরীর বিজ্ঞাপনে বাঙালিকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। কলকাতা বাঙালির শহর হওয়া সত্বেও বাদ পড়ছে বাঙালি। 'সস্তাসুন্দর' নামে একটি ঔষধ সংস্থা একটি চাকুরীর বিজ্ঞাপনে সরাসরি বাঙালিকে না নেওয়ার কথা লিখেছে। কলকাতা শহরের বুকেই অবাঙালি চাকুরীজীবি নিয়োগ করার ঘটনা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। 


সস্তাসুন্দর কোম্পানি থেকে একটি চাকুরীর বিজ্ঞাপনে কাস্টমার কেয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়। সেখানে লেখা হয়েছে টেন প্লাস টু উত্তীর্ণ অবাঙালি ক্যান্ডিডেট নিয়োগ করা হবে। কোথাও বাঙালির কথা লেখা হয়নি। এর মাধ্যমে অমানবিককার পরিচয় দিল এই সংস্থা। 

দীর্ঘদিন ধরে এমন বিজ্ঞাপনগুলো বেশ কিছু বাঙালির চোখে পড়ায় তাঁরা সকলে এই ধরণের বিজ্ঞাপন দেওয়া প্রতিটি সংস্থা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সস্তাসুন্দরের এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের সর্ববৃহৎ বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষ। এমন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাঙালিদের কোণঠাসা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সকল বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক জানানো হয়েছে বাংলা পক্ষের তরফ থেকে। 

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্র একমাত্র বাঙালি ও আদিবাসী। এমনকি সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের কথা লেখা আছে ভারতীয় সংবিধানে৷ অথচ বাংলার বুকে বাঙালি ও আদিবাসীরা ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে উঠেছে। ভূমিপুত্র সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেক বাঙালিকে সচেতন হতে হবে। তাদের সকলকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে পশ্চিমবঙ্গ চাকুরীক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। পশ্চিমবঙ্গে চাকরী প্রচুর আছে। তবে সেই চাকরী বাঙালির জন্য নয়। প্রভূত পরিমাণে অবাঙালি চাকুরী নিয়োগের ফলপ্রসূত বাঙালিদের চাকুরীর জন্য ছুটতে হয় রাজ্য ও দেশের বাইরে। আজকে বাঙালি যদি সচেতন হয় তাহলে বাঙালিকে আর ভিন রাজ্যে চাকুরীর জন্য পাড়ি দিতে হবেনা। 

সস্তাসুন্দরের মতো সংস্থাগুলো যাতে এমন বিজ্ঞাপন না দেয়। সেদিকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। অন্যায় করাটা যেমন অপরাধ, অন্যায় সহ্য করাটাও তেমন অপরাধ। অন্যায়কে মুখ বুঝে মেনে নিলে তার ফল হয় ভয়ংকর। বাঙালি জাতির জন্য ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ দিন আসতে চলেছে। আজকে বাঙালি অন্যায়ের বিরুদ্ধ না রুখে দাঁড়ালে বাঙালি এমন বিপদে পড়বে যেদিন ভস্মে ঘি ঢাললেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।                
        
প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments