Header Ads

সাবেকিয়ানার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজাতে মেতে উঠেছিল চেতলা কেএমডিএ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি

পুজো শেষ। কিন্তু তার রেশ থাকবে কিছুদিন। তারপর আসবে কোজাগরী লক্ষী পুজো। তবুও দুর্গাপূজার স্মৃতি মনে থেকে যায় বহুদিন। তাই একবার ফিরে তাকানো যাক উৎসবের স্মৃতিতে।  


সাবেকিয়ানার মধ্য দিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজাতে মেতে উঠেছিল চেতলা কেএমডিএ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। যার উদ্যোক্তা হলেন মিঠু প্রামাণিক ও ঝর্ণা মাইতি। 

বেশ ধূমধাম করে আয়োজিত হয় এই পুজো। ষষ্ঠী থেকে দশমী পাঁচদিন ধরে অনাবিল আনন্দযজ্ঞে মেতে ওঠে এই কমিটি। মায়ের বোধন থেকে শুরু করে কলা বৌ স্নান, অষ্টমীর পুজো, সন্ধী পুজো ও বিসর্জন সবই সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এই পুজোতে। সকলে প্রচন্ড পরিশ্রম করে আয়োজন করেছিল এই পুজোর। 


চেতলা কেএমডিএ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিতে ফুটবলার সায়ন প্রামাণিককে দেখা গিয়েছিল এই পুজোতে অংশ নিতে। তিনি বেশ চরমভাবেই উপভোগ করেন এই কমিটির দুর্গাপুজোতে। 

পুজোর প্রত্যকটা দিন জনসমাগমও ছিল দেখার মতো। অসংখ্য মানুষ এই কমিটির পুজোতে অংশ নিয়েছিল নিজেদের পুজোর আনন্দ সকল মানুষের সাথে বিলিয়ে দিতে। এই কমিটির পুজোর মন্ডপ বা প্রতিমাতে নেই কোনো থিমের চাকচিক্য। তবে এই পুজোর পরতে পরতে লুকিয়েছিল সাবেকিয়ানা ও নিখাদ বাঙালিয়ানা। এ পুজোরও অধিক গুরুত্ব রয়েছে।


পাড়ার পুজোর মজাই আলাদা। তাই সে পুজোতে বাজেট মোটা বা পাতলা যাই হোকনা কেন। পাড়ার পুজোতে কখনো খামতি ঘটেনা আনন্দের। চেতলা কেএমডিএ সার্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজোতে আনন্দের খামতি ঘটেনি কারও। তারা যেভাবে পুজোর উদ্যোগ নিয়ে পুজোর ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখছেন তাতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা নতুন শোভা পাচ্ছে।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments