Header Ads

কলকাতায় পূর্ব ভারতের প্রথম গবেষণা উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ছে দ্য চ্যাটার্জী গ্রুপ


মুম্বাইতে অবস্থিত টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে একটি গবেষণার আঁতুড়ঘর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে দ্য চ্যাটার্জী গ্রুপ। পূর্ব ভারতে কোনও বেসরকারি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোগে এটাই হবে প্রথম গবেষণা উৎকর্ষ কেন্দ্র। যা তৈরি হবে মহানগরী কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে। 

প্রতীকী ছবি 

টিসিজি সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (টিসিজি ক্রেস্ট) নামে প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালে পথচলা আরম্ভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার জয়দীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে টিসিজি ক্রেস্টকে গড়ে তুলতে টিসিজি গ্রুপের কর্ণধার পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জী প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিজ্ঞানের তত্ত্ব সর্বদা বাণিজ্যিক কাজে লাগানো যায় না। প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে উপযুক্ত প্রযুক্তির। সেই সংক্রান্ত গবেষণা ও সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার স্বপ্ন থেকেই   কলকাতায় অলাভজনক একটি আধুনিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ার কথা ভেবেছেন পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জী।  

কলকাতায় টিসিজি গ্রুপের গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো-- নলেজ ক্রিয়েশন, নলেজ অ্যাপ্লিকেশন ও নলেজ ডিসএমিনেশন। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও টেকনোলজি-নির্ভর বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলির সহযোগিতায় একটি নলেজ সেন্টারের নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। 

ইতিমধ্যেই অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পড়ুয়াদের সেখানে গবেষণার সুযোগ দিচ্ছে টিসিজি গ্রুপ। আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও নিখুঁত তথ্যের হিসাব কষার জন্য প্রয়োজন হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের। কারণ, যা কষতে সুপার কম্পিউটারের বহু বছর সময় লাগে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারে তা হতে পারে মাত্র কয়েক ঘন্টায়৷ ক্রিপ্টোলজি বা সংকেতবিদ্যার গবেষণার অন্যতম হল ডিজিটাল লেনদেন কিংবা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও সুরক্ষিত উপায়ে তথ্য আদানপ্রদানের পরিকাঠামো গড়া। ভবিষ্যতে সেই সব প্রযুক্তি গবেষণার অন্যতম গন্তব্য হতে চায় টিসিজি ক্রেস্ট।  

বর্তমানে টিসিজি ক্রেস্টে রিসার্চের কতগুলি বিভাগও খোলা হয়েছে যেমন ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সিং ইন্টেলিজেন্স, রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর সাস্টেনেবল এনার্জি, সেন্টার ফর কোয়ান্টাম ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন এবং সেন্টার ফর হাই ইমপ্যাক্ট নিউরোসায়েন্সেস ও টেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন। প্রথম বছরই এই প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি করার জন্য ১২ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments