Header Ads

সেজে উঠছে গড়চুমুক, এবার থেকে শোনা যাবে বাঘের গর্জন


উলুবেড়িয়ার নদীর পাড়ের শান্তি নির্জন পর্যটন কেন্দ্র হলো গড়চুমুক। যেখানে কোথাও দেখা যায় হরিণের পাল দৌড়াদৌড়ি করছে। কোথাও জল ছেড়ে ডাঙায় উঠে রোদ পোহাচ্ছে কুমির। কোথাও জুবুথুবু পায়ে ধীর গতিতে চলাফেরা করছে কচ্ছপ। এসবই তো এতোদিন পর্যন্ত চেনা দৃশ্য ছিল গড়চুমুকের কিন্তু সেই দৃশ্যপটে সামান্য বদল হতে চলেছে। গড়চুমুকে এবার থেকে শোনা যাবে বাঘের গর্জন। জোরকদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। 


রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। আর হাড়কাঁপানো শীতের আগমন ঘটলেই বাঙালি বেরিয়ে পড়ে পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করতে। শীতের মরসুমে প্রতি বছরই এখানে পিকনিকের রমরমা চলে। অনেকে আবার নিরিবিলিতে এক থেকে দুটো দিন কাটিয়েও যান এখানে। গড়চুমুকে পর্যটনের জোয়ার আনতে ২০০৮ সালে এখানে গড়ে তোলা হয় মিনি চিড়িয়াখানা। দীর্ঘ ২ বছর ধরে কোভিড, আমফান ও ইয়াসের ধাক্কা বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল এই পর্যটন কেন্দ্রের ওপর। যদিও সেই ধাক্কা অনেকটাই কাটানো গেছে। এখানকার মিনি চিড়িয়াখানা এবার বড় চিড়িয়াখানাতে পরিণত হচ্ছে। যেখানে থাকবে চিতাবাঘ, বাঘ ও জেব্রা। নতুন করে তৈরি হচ্ছে বোটানিক্যাল পার্ক থেকে শিশু উদ্যান। জানা যাচ্ছে, নতুন বছরের আগেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে নতুন চিড়িয়াখানাটি৷  

বানানো হচ্ছে এনক্লোজারও। নতুন জলাশয়ও নির্মাণ করা হচ্ছে। এমনকি পাখিদের আনাগোনা বৃদ্ধি করতে পাখিদের জন্য কৃত্রিম জলাশয়েরও প্রস্তুতি চলছে। শীতের মরসুমের প্রারম্ভেই নবরূপে সজ্জিত হচ্ছে গড়চুমুক। ১৯৯১ সালে হাওড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে গঙ্গা ও দামোদরের মিলনস্থলকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছিল এই পর্যটন ক্ষেত্রটিকে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments