লরি ছিনতাই চক্রের হদিস বাঁকুড়ার রাষ্ট্রীয় সড়কে, গ্রেপ্তার ভিনরাজ্যের ৪ দুষ্কৃতী
বাঁকুড়ায় রাষ্ট্রীয় সড়কে বড়সড় পর্দাফাঁস পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে চলন্ত কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা লরি ছিনতাই চক্রের হদিস ওন্দা থানার পুলিশের। বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ জানা যাচ্ছে, তারা সকলেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা।
লরি ছিনতাই চক্রটি ধরার পূর্বে ঘটেছিল এক নাটকীয় ঘটনা। গত শনিবার রাতে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার কালিসেন এলাকায় রাষ্ট্রীয় সড়কে হঠাৎ আগমন হয় একটি গাড়ির। যে গাড়িটিকে খড়্গপুর থেকে আসতে দেখা যায়। গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীরা গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে অভিনয় করতে থাকে। এই অভিনয়ের মাঝেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লরি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় চার দুষ্কৃতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, লরি ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া মাত্রই জেলাজুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু হয়৷ কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ছিনতাই হওয়া লরি ও তার পিছু পিছু যাওয়া দুষ্কৃতীদের গাড়িটির কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। দুর্গাপুর ব্যারেজে ওঠার মুখেই পুলিশের কব্জায় চলে আসে ঐ গাড়ি দুটি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছিনতাই করা লরিটিকে কালিসেন থেকে এনএইচ ৬০ ধরে প্রথমে হেভির মোড় নিয়ে আসা হয়। তারপর লরিটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে বড়জোড়ায়।
পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে চার দুষ্কৃতীকে। ধৃত এই চার ব্যক্তির নাম যথাক্রমে সুধীর প্যাটেল, অভয় রাজ, কৃষ্ণ কুমার ও সোমনাথ বেহরা। সুধীর প্যাটেল ধানবাদের বাসিন্দা। অভয় রাজ ও কৃষ্ণ কুমারের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে এবং সোমনাথ বেহরা ওড়িশার বাসিন্দা। এই চার দুষ্কৃতীই আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সদস্য। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রও।
ধৃতদের পুলিশি জেরার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, তারা এই রাজ্য সড়ক ছেড়ে দুই নম্বর রাষ্ট্রীয় সড়ক ধরার চেষ্টা করছিল। যদিও বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তৎপরতায় রাজ্য সড়ক ছেড়ে দুই নম্বর রাষ্ট্রীয় সড়ক ধরতে তারা বিফল হয়েছে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment