Header Ads

বাংলার জিআই পণ্য তালিকায় নবতম সংযোজন ডলে খুর্সানি লঙ্কা


ডলে খুর্সানি লঙ্কা হলো বাংলা ও বাঙালির গর্ব৷ বাংলার বিখ্যাত ডলে খুর্সানি লঙ্কা, যা পৃথিবীর অন্যতম ঝাল লঙ্কা। যা মূলত দার্জিলিং ও সিকিম এই সব পার্বত্য এলাকায় চাষ হয়ে থাকে। তবে এই লঙ্কা কিন্তু লম্বা নয়, বরং চেরির মতো ছোট এবং গোলাকৃতি। এই লঙ্কার ঝাল এতোটাই মারাত্মক যে একটা লঙ্কা খেতে খেতেই লঙ্কাকান্ড বেঁধে যেতে পারে। এই লঙ্কার আচার ও চাটনি তৈরির চল রয়েছে যা স্বাদে অতুলনীয়। 


ডলে খুর্সানি লঙ্কা দেখতে ভারী সুন্দর। অন্যান্য লঙ্কার তুলনায় ডলে খুর্সানির মধ্যে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই-এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। কমলালেবুর থেকেও বেশি ভিটামিন সি রয়েছে এই লঙ্কায়। পটাশিয়ামের পরিমাণও বেশি এতে৷ এই সব উপাদান ডলে খুর্সানিকে স্বাস্থ্যসম্মত লঙ্কা করে তুলেছে। এই লঙ্কার ঝালের পরিমাণ হলো এক লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ স্কোভিল৷ লঙ্কার ঝাল পরিমাপের একক হলো স্কোভিল। 

গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর ছক্কা হাঁকালো বাংলার ডলে খুর্সানি  লঙ্কা। ভৌগোলিক স্বত্ব বা জিআই অর্জন করলো এই লঙ্কা। রসগোল্লা, মিহিদানা, সীতাভোগ, জয়নগরের মোয়া, তুলাইপাঞ্জি চাল, মাদুরকাঠি, কুশমন্ডির কাঠের মুখোশ, ছৌ মুখোশ, মনসা চালি, শান্তিনিকেতনী চর্মজাত সামগ্রী, নকশি কাঁথা, টেরাকোটা, ডোকরা, পটচিত্র, গোবিন্দভোগ চাল, শান্তিপুরী শাড়ি, বালুচরী শাড়ি, ধনেখালি শাড়ি, ফজলি আম, লক্ষ্মণভোগ আম, হিমসাগর আম, দার্জিলিং চায়ের পর বাংলার জিআই পণ্য তালিকায় নবতম সংযোজন হলো ডলে খুর্সানি লঙ্কা। 

একটি পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রসারের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক স্বত্বের এক অনন্য ভূমিকা রয়েছে। যে সকল পণ্য যে রাজ্যে প্রথম উৎপাদিত হয় কিংবা যেসব পণ্য সেই রাজ্যের নিজস্ব, একমাত্র সেইসব পণ্যকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়। একটি রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে জিআই। একটু একটু করে যত দিন যাচ্ছে বাংলার জিআই পণ্যের তালিকা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডলে খুর্সানি লঙ্কার পর বাংলার যে পণ্যটি জিআই পেতে চলেছে তা হলো কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি সরভাজা ও সরপুরিয়া। আর কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে জিআই স্বীকৃতি পাবে এই মিষ্টি। বাংলার এখনও বহু নিজস্ব পণ্যের জিআই পাওয়া বাকি আছে। জিআই পাওয়ার দৌড়ে যেমন এগিয়ে আছে মালদার রসকদম্ব, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, নবদ্বীপের লাল দই, বেলিয়াতোড়ের মেচা সন্দেশ ও জনাইয়ের মনোহরা প্রভৃতি। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments