Header Ads

ব্যারাকপুর রেল স্টেশনে বাংলাকে অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালো 'বঙ্গযোদ্ধা'


বাংলার অন্যতম ঐতিহাসিক শহর হলো ব্যারাকপুর। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রধান ঘাঁটি ছিল ব্যারাকপুর। মহাবিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ব্যারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে। বর্তমানে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের অত্যাচারে জর্জরিত ব্যারাকপুর। এখানে বাংলা ভাষার পীঠ বহুদিন আগেই দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। এখন সেই পীঠ পেরেকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত।  


ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের বাইরের দিকে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, স্টেশনের মূল সাইনবোর্ডটিতে বাংলা অক্ষরে লেখা ব্যারাকপুর শব্দটি ব্যা- পুর হয়ে আছে। দুঃখের বিষয় প্রতিদিন হাজার হাজার বাঙালি ব্যারাকপুরে যাতায়াত করছে কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। বাঙালির এই অতিরিক্ত অসচেতনতা আজ বাঙালিকে ধ্বংসের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে যে বাঙালির মর্যাদা বোধ এখনও  গড়েই ওঠেনি৷ রেলের গাফিলতি আছে কিন্তু তার থেকেও বড় গাফিলতি হচ্ছে সেই সব বাঙালিদের যারা দিনের পর দিন এই অবস্থায় দেখেছে, হয়তো মনে প্রশ্ন এসেছে কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলেনি। 


'বঙ্গযোদ্ধা' নামক একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ব্যারাকপুর স্টেশনে বাংলা ভাষাকে অবমাননা করার বিরুদ্ধে গত ১৯ শে জুলাই এক প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন কর্মসূচীর আয়োজন করে। বঙ্গযোদ্ধা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাঙালিদের এই গাফিলতির গ্লানি মুছে ফেলা হবে। তাই তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল। স্টেশন মাস্টারের কাছে সংগঠনের তরফে ডেপুটেশন দেওয়া হয় এবং স্টেশন চত্বরে মাইকিং পথসভা করা হয়। 

সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গযোদ্ধা সংগঠনের সভাপতি প্রবীর রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গযোদ্ধার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভিজিৎ দে, যুব বঙ্গযোদ্ধার অন্যতম সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ ও আরো অনেক সহযোদ্ধা।

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments