১০০ জন বস্তিবাসীর ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে মানবিক উদ্যোগে সামিল হলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী
এই মুহূর্তের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। যিনি 'ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি', 'শেষ থেকে শুরু, 'টিকি-টাকা', 'বাওয়াল', 'কলকাতায় কলম্বাস', 'চতুষ্কোণ' এর মতো একগুচ্ছ বাংলা ছবিতে তিনি অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বাংলার পাশাপাশি মালয়ালম ও হিন্দি ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। বিজ্ঞাপন জগতের পরিচিত মুখ হিসেবেও তিনি পরিচিত।
সম্প্রতি তিনি সামিল হলেন এক মানবিক উদ্যোগে। একশোজন বস্তিবাসীর ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রথম ডোজও নেওয়ালেন তাদের। একশোজন বস্তিবাসীকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রাজি করা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ ছিল না। তবে মা শতরূপা সান্যালের সঙ্গে অভিনেত্রী ঋতাভরী মাঠে নেমে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী বরাবরই নানান সমাজসেবার কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। অনাথ দুঃস্থ শিশুদের পাশে দাঁড়ায় তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবার করোনা পরিস্থিতিতে তিনি এগিয়ে এলেন একশোজন বয়স্ক, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ানোর কাজে। ঋতাভরী ও তাঁর প্রিয় বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত, দুজনে মিলে এই উদ্যোগটা নিয়েছিলেন। সকলকে নিজেরাই নিয়ে গিয়েছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়ানোর জন্য। সেই কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন তাঁরা।
অনেকের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন নিতে অনীহা দেখা গিয়েছে। বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রবলভাবে। এবার তাদের জন্যই টিকা দানের ব্যবস্থা করলেন ঋতাভরী। দত্তাবাদ বস্তির একশোজন প্রবীণ নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন অভিনেত্রী।
কিছুদিন আগে এক কষ্টকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ সাত মাস ধরে 'পিরিয়েনাল অ্যাবসেস' নামক একটি রোগে ভোগার পর অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী। এরপর বাড়িতে বেশ কিছুদিন বিশ্রাম নেবার পরেই আবার স্বমেজাজে ফিরেছেন তিনি।
এই উদ্যোগের প্রসঙ্গে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন "সরকার থেকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সেটা আমরা সবাই জানি কিন্তু এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের বিশাল ঘাটতি রয়েছে। সব জায়গাতে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এবং বেসরকারি যে সমস্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই আমি এবং আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত এই উদ্যোগটা নিয়েছিলাম।"
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment