Header Ads

একমাত্র ভারতীয় হিসেবে ডন ব্র্যাডম্যানকে স্টাম্পড আউট করেন বঙ্গসন্তান প্রবীর সেন


ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও বাঙালির অবদান কম নেই। ক্রিকেট যখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে তখন থেকেই বাঙালির অবদান রয়েছে। ভারত বাদেও ইংল্যান্ড, কানাডা এবং বাংলাদেশের এই চারটি দেশের আন্তর্জাতিক দলে খেলার রেকর্ড বাঙালির আছে, এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র ভারতীয় বাঙালিদের কথাই উল্লেখ করলাম।


                                ছবিতে ডন ব্র্যাডম্যান, জেসি ব্র্যাডম্যান, প্রবীর সেন এবং পঙ্কজ গুপ্ত

ঝুলন গোস্বামী ২০০৭ সালে হয়েছিলেন আই.সি.সি. বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার। বিশ্বের প্রথম মহিলা হিসেবে আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে তে ২০০ টি উইকেট পান তিনিই। ২০১৬ তে ঝুলন গোস্বামী বোলিং (ICC Women's ODI bowling rankings) এ প্রথম স্থান অধিকার করেন। 

প্রিয়াঙ্কা রায় ২০০৯ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হন। সৌরভ গাঙ্গুলীর ক্রিকেটে অবদান কমবেশি সবাই জানে।  

১৯৫৬ সালের ১১ ই জানুয়ারী পঙ্কজ রায় ভিনু মাঁকড়ের সাথে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলায় ৪১৩ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ করেন। যে রেকর্ড ৫৬ বছর টিকে ছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র জুটিই ওনাদের চেয়ে বেশি রানের পার্টনারশিপ করেছেন। ২০০৭-০৮ সালে মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ ও নিল ম্যাকেঞ্জি ৪১৫ রান তুলে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এছাড়াও, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সময়কালে জাতীয় দল নির্বাচকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন বাঙালি ক্রিকেটার অম্বর রায় যার ফলে উঠে আসে সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো একাধিক ক্রিকেটার।

২০০৩ সালের মহিলা ওয়ার্ল্ড সিরিজ, ২০০৫ সালের মহিলা বিশ্বকাপ, ২০০৭ ও ২০০৯ এর টি-২০ ওয়ার্ল্ডকাপে রুমেলি ধর যথেষ্ট প্রতিভার পরিচয় রাখেন। ই.এস.পি.এন. ক্রিক-ইনফো তে ওনাকে এক্সেলেন্ট ফিল্ডার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।


                               দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে করমর্দন করছেন সাথে প্রবীর সেন

ভারতীয় উইকেট কিপারদের মধ্যে অন্যতম সফল কিপার ছিলেন প্রবীর সেন। তিনি উইকেট কিপার হিসেবে সারা বিশ্বে নাম কুড়িয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে প্রথম ও একমাত্র ভারতীয় হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেটার ডন ব্র্যাডম্যানকে স্টাম্পড আউট করেন যা ওনাকে সারা বিশ্বে পরিচিত করে তোলে। তার ঠিক পরের বছর তিনি একটি টেস্টে পাঁচটি স্টাম্পড আউটের রেকর্ড করেন। এই রেকর্ড রয়েছে সারা বিশ্বে মাত্র দুজন ক্রিকেটারের। এর ফলে ১৯৪৮ সালে ভারতের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হন প্রবীর সেন।

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে সারা বিশ্বের মাত্র দুজন ক্রিকেটার তাদের পায়ের প্যাড ব্যবহার করতেন না এবং হ্যাট্রিক করেছেন তার মধ্যে প্রবীর সেন উল্লেখযোগ্য। উনি ছাড়া দ্বিতীয় জন হলেন অ্যালান স্মিথ। ১৯৬০ থেকে কোলকাতায় ওনার পি.সেন মেমোরিয়াল ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীরা পঙ্কজ রায় বা প্রবীর সেনকে অনেকে চেনেন না। যদিও বাঙালির ক্রিকেটের গৌরবে এনাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।



তথ্যসূত্র- ক্রিকেট আর্কাইভ.কম, ক্রিকইনফো.কম।


No comments