Header Ads

অবশেষে নিজের জন্মভিটাতে ঠাঁই পেলেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়


প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়। এই নামটি যেন বিস্তৃতির আড়ালে থেকে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের  ইতিহাস বইতেও সেভাবে পড়ানো হয়না রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের সম্বন্ধে। ইতিহাস বইতে শুধু পড়ানো হয় হরপ্পা সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র মহেঞ্জোদাড়ো পুনরাবিষ্কার করেন রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়। 


ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় ১৮৮৫ সালের ১২ ই এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কালিমাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল ঐতিহাসিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব, উৎকীর্ণ লিপিতত্ত্ব ও প্রাচীন হস্তলিপি বিষয়ের পথপ্রদর্শক এবং সাহিত্যিক।  

রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে সেভাবে তেমন চর্চা হয়নি। একবাক্যে বলতে গেলে তিনি প্রাপ্য সম্মানটুকু পাননি৷ অবশেষে তাঁর মৃত্যুর ৯০ বছর পর তিনি নিজ জন্মভূমে ঠাঁই পেলেন। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সংগ্রহশালায় বসেছে রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি। এর পাশাপাশি জেলা পরিষদের সংগ্রহশালার নামকরণও করা হয়েছে তাঁরই নামে। 

মুর্শিদাবাদ জেলার এতোবড়ো একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় তবুও মুর্শিদাবাদের খুবই কম মানুষই তাঁকে মনে রেখেছেন। যদি মুর্শিদাবাদ জেলাটা বাদই রাখা হয় তারপরও দেখা যাচ্ছে গোটা বাংলার হাতে গোণা দু'একজন ছাড়া কেউই রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়কে সেভাবে মনে রাখেননি। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সংগ্রহশালার নাম তাঁর নামে হলেও বহরমপুর শহরের কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সরণির নামকরণ করা হয়নি তাঁর নামে। যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। 

আগে তাঁর জন্মদিন বা মৃত্যুদিন কোনোটাই মুর্শিদাবাদে পালিত হতো না। এখন সেই চিত্রটা কিছুটা বদলেছে। এখন মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গাতে নিয়ম করে রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালিত হচ্ছে। কর্ণসুবর্ণ, সাগরদিঘি অঞ্চলের ইতিহাস চর্চাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। তারপরও তিনি আজ বঞ্চিত। লক্ষ লক্ষ বাঙালির অসচেতনতা আজকে ভুলিয়ে দিতে বসেছে বাংলা ও বাঙালির গুরুত্বপূর্ণ সব ইতিহাস। সমস্ত সচেতন বাঙালির উচিৎ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের মতো গুণী ব্যক্তিদের অবদানকে আজীবন মনে রাখা। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments