Header Ads

ও ক্যালকাটা, স্যুইট বেঙ্গলের মতো কুড়িটি ব্র্যান্ডের মালিক অঞ্জন চ্যাটার্জী বাঙালির ব্যবসাকে পথ দেখাচ্ছে


ও ক্যালকাটা, স্যুইট বেঙ্গল, মেইন ল্যান্ড চাইনা, কাফে মেজুনা, শিগ্রি গ্লোবাল গ্রিল, রিয়াসাত, দারিওলে, এপিসোড ওয়ান, গং, হে, মাচান, হপ্পিপোলা, হাকা এরকম নাম কোলকাতার আনাচে কানাচে দেখতে পাবেন কিন্তু আপনি কি জানেন এগুলো সবই বাঙালির কোম্পানি। এই ব্র্যান্ডগুলোর মালিক হলো অঞ্জন চ্যাটার্জী। তাঁর কোম্পানির নাম স্পেশালিটি রেস্টুরন্ট লিমিটেড। শুধু কোলকাতা নয় মুম্বাই, দিল্লি সহ চীন, ভারত, তানজানিয়া এবং বাংলাদেশের ৩৫ টি শহরে বিভিন্ন নামে ছডিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে স্পেশালিটি রেস্টুরন্ট লিমিটেডের রেস্টুরন্ট। 


অঞ্জন চ্যাটার্জী ওনলি ফিস নামে মুম্বাইতে প্রথম রেস্টুরন্ট কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন। যে কোম্পানির বর্তমান হেডকোয়াটার্স কলকাতায়। দেশ বিদেশের বিভিন্ন রকম কুইজিন্সের জন্য বিখ্যাত এই কোম্পানি। যেমন কাফে মেজুনা যেখানে ভূমধ্যসাগরীয়, মরোক্কান, স্প্যানিস, ফ্রেঞ্চ এবং ইটালিয়ান কুইজিন্সের জন্য বিখ্যাত। মেইন ল্যান্ড চাইনা নামের ৫২ টি আউটলেট চাইনিস কুইজিন্সের জন্য বিখ্যাত। হাকা ক্যান্টোনিস কুইজিন্সের জন্য বিখ্যাত। স্যুইট বেঙ্গল বিভিন্ন রকম বাঙালি মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত। ফ্লেম এন্ড গ্রিলসে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের কাবাব। মাচানে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের ইন্ডিয়ান কুইজিন্স। হপ্পিপোলায় বিভিন্ন রকমের ফিঙ্গার ফুড পাওয়া যায়। মোবিফিস্ট বিখ্যাত ক্যাটারিং সার্ভিসের জন্য। প্রায় ৬০০০ লোক কাজ করেন এই সব আউটলেট গুলো থেকে।

কলকাতার ফুড এন্ড বিভারেজে বর্তমানে মার্কেট লিডারের ভূমিকা পালন করে এই কোম্পানি। কলকাতার এমন কোনো মানুষ নেই যে একবার হলেও এসবে খাননি অঞ্জন চ্যাটার্জীর স্পেশালিটি রেস্টুরন্ট লিমিটেড বাদ দিলে মিয়ো আমোরে, মনজিনিস, গাঙ্গুরাম, ভজহরি মান্না, আমিনিয়া তো রয়েছেই। 

বাপুজী, বিস্ক ফার্ম, কুকমি, দুলালের তালমিছরি বা খাবার জিনিসের কোম্পানি এবং বাংলাদেশ বা অন্য দেশের বাঙালি কোম্পানি বাদ দিলে বন্ধন ব্যাঙ্ক, উজ্জীবন ব্যাঙ্ক, ডিটিডিসি কুরিয়ার, পিসি চন্দ্র জুয়েলার্স, সেনকো গোল্ড, খাদিমস, শ্রীলেদার্স, গার্ডেন, পার্ক হোটেল, এপিজে বুক স্টোর, কেয়া শেঠ, বোরোলিন, কিও কার্পিন, মার্গো সাবান, খুকুমনি সিঁদুর, শ্রীমতি সিঁদুর, টিসিজি গ্রুপ, কেপিসি, ইলাইট হোটেল, ডাবর, কেসি দাস, কেসি পাল, পতাকা চা, পতাকা বিড়ি, পুরি হোটেল, প্রয়াগ গ্রুপ, লুনা টায়ার্স, রেডিও এশিয়া নেটওয়ার্ক, স্টার গ্রুপ, এন.ডি.টি.ভি., এবিপি, বর্তমান পত্রিকা, গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল, রাইস, পৈলান গ্রুপ, টেকনো ইন্ডিয়া, অ্যাডামাস কেরিয়ার, সিমবায়োসিস, রুবি হসপিটাল, দিশা হসপিটাল, দিশান হসপিটাল ইত্যাদি ইত্যাদি এতোসব বাঙালি কোম্পানি রমরমিয়ে চলছে কিন্তু দুর্ভাগ্য তা সত্বেও বাঙালির মধ্যে কেন এতো হীনমন্যতা যে বাঙালি ব্যবসা পারেনা। দয়া করে এইসব অপপ্রচারে কান দেবেন না। বাঙালিও ব্যবসা পারে আপনিও পারেন ও আপনার সন্তানও পারে এবং পারবেন।

প্রতিবেদন- অমিত দে

No comments