বাইডেনের প্রশাসনের অন্দরে এবার বাঁকুড়ার সোনামুখীর মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়
বাইডেনের প্রশাসনে এবার কাজ করবেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের নীতি-পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন। তাঁর প্রশাসনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বারাক ওবামার সময় থেকেই। ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন তিনি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নীতির উপদেষ্টা ছিলেন৷
সোহিনী চট্টোপাধ্যায়ের বাবা স্বদেশ চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়ার সোনামুখীর মনোহরতলার বাসিন্দা। স্বদেশবাবু অল্প পুঁজি সঞ্চয় করেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোজা আমেরিকা পাড়ি দেন। সেখানে তিনি একটি ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসায়ীক সূত্র ধরে ওবামার প্রশাসনের অন্দরেও তাঁর প্রভাব পড়ে।
সোহিনী চট্টোপাধ্যায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন৷ স্নাতকোত্তর পড়া চলাকালীন তিনি ডিউক বিশ্বিবদ্যালয় থেকে আইন নিয়েও পড়াশোনা করেন। কলেজে পাঠরত অবস্থায় তিনি কলকাতায় এসে মাদার টেরিজার জীবদ্দশায় তাঁর 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটি'র হয়ে কয়েক মাস কাজ করেছেন। বছর আটেক আগে তিনি শেষবারের মতো সোনামুখীতে এসেছিলেন৷ আর বছর চারেক আগে কলকাতায় তাঁর ছোটপিসির বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মসূত্রে প্রায়ই তাঁকে ভারত-সহ এশিয়ার নানান প্রান্তে ঘুরতে হয়।
বাড়ির লোকেরা ঠাট্টা করে তাঁকে 'বেগুন পোড়ার পোকা' বলে ডাকেন। তাঁর বাবা স্বদেশ চট্টোপাধ্যায় প্রবাসে থেকেও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক মজবুত রাখার কাজ করেন। এ কাজের জন্য তিনি ভারতের পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। তিনি তাঁর ছোটোপিসি মনিকা চক্রবর্তীর কাছে ছোটোবেলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রচণ্ড জেদি। জীবনে লেখাপড়াতে হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকেই দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। আজকে সোনামুখীর সোহিনী চট্টোপাধ্যায় বাইডেনের ক্যাবিনেটে। তিনি একজন বাঙালিনী হিসেবে জগৎসভায় বাঙালির নাম উজ্জ্বল করলেন।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment