পূর্ব বর্ধমান জেলার এক মাছবিক্রেতা হয়ে গেলেন রাতারাতি কোটিপতি
'ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা বৃথা' - এই কথাটি সমাজে বহুল প্রচলিত। কিন্তু কে বলেছে যে ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা যায়না? ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ কেন, কোটি টাকারও স্বপ্ন দেখা যায়। এমনটাই এবার করে দেখালেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বানেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। গ্রামের লোকেরা তাকে ভোলা বলে ডাকেন। মাছ বিক্রি করেই তার সংসার চলে৷ অল্প টাকাতে কোনোরকমে টেনেটুনে সংসার চালান তিনি। কদিন আগে ৩০ টাকা দিয়ে তিনি একটি লটারি কাটান৷ আর এই লটারিই তার ভাগ্য সম্পূর্ণ বদলে দিলো। ৩০ টাকার লটারি কাটিয়ে তিনি আজকে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন।
শোনা যাচ্ছে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে লোকেরা তাকে দেখতে আসছেন। অনেকের বিশ্বাসও হচ্ছে না যে তিনি লটারি কাটিয়ে এক কোটি টাকা জিতেছেন। বিশ্বাস না হওয়াটাই স্বাভাবিক। অথচ ঠিক এভাবে হঠাৎ করেই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়। কার কপালে কখন কোন সুখ এসে জমা হয় তা কেউই জানেন না। রফিকুলবাবুর জীবন অত্যন্ত কষ্টে কেটেছে দারিদ্র্যতার সঙ্গে আপোষ করে। আজকে তার ভাগ্যাকাশে ধ্রুবতারার আবির্ভাব ঘটলো।
প্রতিদিন কাজের অবসরে ভাতার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকাতে তার কিছুক্ষণের জন্য আড্ডা দেওয়ার একটু বাতিক আছে। আড্ডার ফাঁকে তিনি লটারির টিকিট কাটিয়ে টিকিটের নম্বরগুলোতে একবার করে চোখ বুলিয়ে নিতেন। কোনও একটা নম্বর পছন্দ হলেই চট করে সেই টিকিট কিনে নিতেন৷ স্বভাবতই সেভাবে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী ৩০ টাকার ৫ সেম লটারি কেটে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর ফোনের মাধ্যমে তিনি খবর পান যে তিনি লটারিতে এক কোটি টাকা জিতে নিয়েছেন।
তিনি এর আগে বহুবার লটারি কাটিয়ে অল্পস্বল্প টাকা পেয়েছেন। তবে তিনি কখনো এক কোটি টাকা পাবেন তা স্বপ্নেও ঠাওর করতে পারেননি। তিনি এই এক কোটি টাকার মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বাড়ি বানাবেন সাথে নিজের ব্যবসার বহরও বৃদ্ধি করবেন। দরিদ্র পরিবারে জন্মানো এই মানুষটির কোটিপতি হওয়ার খবর সত্যিই মনের মধ্যে একরাশ শান্তি নামিয়ে আনে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment