নিউইয়র্ক কাঁপাচ্ছে বাংলার কাটি রোল সৌজন্যে বাঙালি কন্যা পায়েল সাহা
কলকাতার নিজস্ব এক স্ট্রিট ফুড হলো কাটি রোল। এটি একটি পরোটাতে প্যাঁচানো পাতলা কাঠিযুক্ত কাবাব। তবে এর কিছু বৈকল্পিক বিবর্তনও হয়েছে, যা কাঠি রোলের নামে চলে আসছে। আজকাল ভারতের অনেক শহরে রুটিতে পুর দিয়ে তৈরি খাবার বানিয়ে সেটাকে সমান করে কেটে কাঠিতে এঁটে দিয়ে সেটাকে কাটি রোল বলে বিক্রি করছে। এই সুখাদ্যটি বাংলাতে রোল হিসেবেই পরিচিত। কাটি রোলে সাধারণত ধনে পাতার চাটনি, মুরগির মাংস ও ডিম প্রভৃতি উপাদানগুলি ব্যবহৃত হয়।
কলকাতার মেয়ে পায়েল সাহার হাত ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছে গিয়েছে কাটি রোল। নিউইয়র্কের প্রথম কাটি রোল কোম্পানি তাঁরই প্রতিষ্ঠিত৷ যে কোম্পানির নাম 'দ্য কাটি রোল কোম্পানি'। শুধু নিউইয়র্কই নয়, লন্ডন ও নিউইয়র্ক মিলিয়ে তাঁর কোম্পানির চারটি শাখা আছে যার মূল্য ১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
মাত্র ২২ বছর বয়সে নিজের পরিচিতি গড়তে তিনি দ্য কাটি রোল কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কোম্পানিতে বর্তমানে ১১৬ জন কাজ করেন। রমরমিয়ে বিদেশের মাটিতে তাঁর ব্যবসা চলছে। নিউইয়র্ক ও লন্ডনের লোকেদের কাছেও ধীরে ধীরে প্রিয় হয়ে উঠেছে কলকাতার স্পেশাল কাটি রোল। মুখরোচক খাবার হিসেবে রোল খেতে কম-বেশি সব্বাই ভালোবাসেন। এই সহজ ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তিনি আজ একজন সফল উদ্যোগপতি। ২০০০ সালে নিজের পরিচারককে সঙ্গে নিয়ে নিউইয়র্কে পাড়ি জমিয়ে সেখানে কাটি রোলের ব্যবসা শুরু করেন। তার আগে নিউইয়র্কের কাছে কাটি রোল নামক খাবারটি অজানাই ছিল। তিনি নিজের ব্যবসার প্রসারের জন্য পৃথিবীর প্রথম শ্রেণীর শহরগুলোকে টার্গেট করছেন। তিনি সারা বিশ্বজুড়ে নিজের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে চান।
তিনি শুরুতে ক্রেতা হিসেবে নিশানা করেছিলেন কলেজ পড়ুয়া ও নৈশযাত্রীদের। ব্যবসা আরম্ভের প্রথম দিন তাঁর রোজগার হয় মাত্র ৫০ ডলার৷ তিনি আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসার জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেন। আঠারো মাসের মধ্যেই সেই টাকা তিনি পরিশোধ করে দেন। ব্যবসা সম্পর্কে তাঁর প্রথমদিকে কোনো ধ্যানধারণা না থাকলেও প্রোডাক্টের মান নির্ধারণে তিনি অধিক গুরুত্ব দিতে থাকেন। এই প্রোডাক্টের জোরেই তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন সাফল্যের নক্ষত্রকে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment