Header Ads

নেতাজীর ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের নতুন করে লাইসেন্স দিচ্ছে কলকাতা পৌরসভা


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কী সত্যিই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন? ইতিহাসের প্রামাণ্য  তথ্য বলছে তিনি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট তাই-ই বলছে। কেবল মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টই নয়, বেশিরভাগ বিখ্যাত সব নেতাজী গবেষকরা তাদের গবেষণাতে জানাচ্ছেন বিমান দুর্ঘটনাতে নেতাজীর মৃত্যু হয়নি৷ তাহলে ১৯৪৫ সালের পর তিনি কোথায় গেলেন এ নিয়ে বহু গবেষণাও হয়েছে। নেতাজী গবেষকদের সঠিক তথ্যও আছে। নেতাজীর ফাইলগুলোতেও আছে আসল তথ্য। তবুও রাজনৈতিক স্বার্থে কোনো রাজনৈতিক দলই নেতাজীর ফাইল প্রকাশে উদ্যোগী হয়নি।  


নেতাজীর অন্তর্ধান নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক আছে। সেই তর্ক-বিতর্ক দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজও চলছে। তিনি আজও জীবিত না মৃত সেকথাও আমরা স্পষ্ট করে জানিনা। তবে যাইহোক আমাদের দেশনায়ক তো কেবল একজনই তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। এবছর তাঁর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হলো। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতা  পৌরসভা এক অভিনব উদ্যোগ নেয়। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্বত্বাধিকার প্রাপ্ত একটি কোল্ট রিভলবার ও একটি দোনলা বন্দুকের লাইসেন্স দিতে চলেছে কলকাতা পৌরসভা। 

নেতাজীর দেশনায়ক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে আরো একটি পরিচয়। তিনি কলকাতার একজন প্রাক্তন মেয়রও ছিলেন। ১৯২৯ সালের ১০ ই এপ্রিল মেয়র হিসেবে কলকাতা পৌরসভাতে নিযুক্ত হন সুভাষচন্দ্র বসু। আর এই সময়কালে মেয়রের জন্য একটি কোল্ট রিভলবার, একটি দোনলা বন্দুক ও একটি তরবারির লাইসেন্স দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই বস্তুগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যেতনা। ২০১২ সালে পৌরসভার সংস্কার করতে গিয়ে এই অস্ত্রগুলো উদ্ধার হয়। সরকারি নথির সাথে মিলিয়ে দেখা গেছে অস্ত্রগুলো নেতাজীরই। 

কলকাতা পৌরসভার সূত্রে জানা যাচ্ছে শহরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই এই বছর কলকাতা পৌরসভা নানান রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে। নেতাজীর ব্যবহৃত কোল্ট রিভলবার, দোনলা বন্দুক ও তরয়াল আগে কেবল পৌরসভার  অধিকারীকরা দেখতে পেতেন কিন্তু জনসাধারণের দেখার সুযোগ থাকতো না। এবার এই অস্ত্রগুলোকে জনসাধারণের জন্য নির্দিষ্ট প্রদর্শনশালায় স্থান দেওয়া হবে। সকলে এবার থেকে স্বচক্ষে অস্ত্রগুলো দেখার সুযোগ পাবে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments