Header Ads

নলেন গুড়ের স্পেশাল চা খেতে ভিড়ে টইটম্বুর হয়ে উঠছে বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ড


শীতকাল বলে কথা। শীতের সকালে চায়ের চুমুকে শরীর গরম না করলে দিনটা খুব একটা জমে না। তাই শীতে বাঙালির প্রথম পছন্দ সকাল সকাল চায়ে চুমুক দেওয়া। বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় বস্তু হলো চায়ের ঠেক। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে খবরের কাগজ পড়া, রাজনৈতিক আলোচনা করা ও সংসারের নানান গল্প নিয়ে আড্ডা দেওয়া কালচারটা বাঙালির বহু জায়গায় থেকে গেছে। আজকাল তো কত রকমের যে চা যা গুণেও শেষ করা যাবে না। দুধ-চিনির চা, লিকার চা, লেবুর চা, কোল্ড টি, সবুজ চা, কালো চা, বাদাম চা, চকলেট চা চায়ের যেন শেষ নেই। 


সদ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে নলেন গুড়ের স্পেশাল চায়ে মজেছে সেখানকার বাসিন্দারা। নলেন গুড়ের চায়ের চাহিদা সেখানে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নলেন গুড়ের চা শুনতে অবাক লাগলেও নলেন গুড়ের চায়ের স্বাদ সাধারণ চায়ের থেকে অনেকটাই আলাদা। এ বছর শীতের মরসুমের শুরু থেকেই বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে সঞ্জিত শীলের চায়ের দোকানে নলেন গুড়ের চা খেতে লোকেরা ভিড় করছেন৷ এক কাপ নলেন গুড়ের চা খাওয়ার জন্য লম্বা লাইনও লেগে যাচ্ছে। 

সঞ্জিত শীল বরাবরই নতুনত্বে বিশ্বাসী। তার দোকানে নলেন গুড়ের মিষ্টি, নলেড় গুড়ের সন্দেশ সহ নলেন গুড়ের নানান খাবার পাওয়া যায়। নলেন গুড় নিয়ে তিনি প্রায়শই নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করে থাকেন। সেই চিন্তা থেকেই তিনি বানাচ্ছেন নলেন গুড়ের চা। মাটির ভাঁড়ে করে তিনি বিক্রি করছেন এই চা। স্থানীয় লোকজন থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গার দূরদরান্ত থেকে চা পিপাসু মানুষরাও এখানে ছুটে আসছেন। নলেন গুড়ের স্পেশাল চা সঞ্জিত বাবুর মুখে হাসির বন্যা বইয়ে নিয়ে চলেছে। 

এতো পরিমাণে লোক এখানে ভিড় জমাচ্ছেন যে পর্যাপ্ত নলেন গুড়ের চায়ের জোগান দিতে সঞ্জিত বাবুদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মন্দার বাজারে সৎ উপায়ে লক্ষীলাভ করা কী আর সহজ কথা। অথচ প্রথম পর্যায়ে এই চা যখন তিনি বিক্রি করতেন তখন ভিড় অতোটা হতো না৷ তারপর হঠাৎ করেই তার দোকানের এই চা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তিনিও টের পাননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে চা বিক্রি করছেন।  কিন্তু এর আগে তিনি চা বিক্রি করে এতো বড়ো সফলতা কোনোদিনই সেভাবে পাননি৷ এর থেকেও বড় কথা তার দোকানের নলেন গুড়ের স্পেশাল চা নিয়ে টিভিতে খবরও বেরোচ্ছে।  

সঞ্জিত শীলের চায়ের দোকানে সাধারণ লাল চা বা দুধ চায়ের দামেই মিলছে নলেন গুড়ের চা। ছোটো ভাঁড়ে এই চা পাওয়া যাচ্ছে ৫ টাকাতে ও বড় ভাঁড়ে এই চা ১০ টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments