Header Ads

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে উদ্যোগী হিডকো, তৈরি হবে বিনোদন পার্ক 'অপুর সংসার'


কখনো তিনি ক্ষিদদা, কখনো তিনি অপু, কখনো তিনি ফেলুদা, কখনো তিনি উদয়ন পণ্ডিত, কখনো তিনি সাহিত্যপ্রেমী বিশ্বনাথ মজুমদার। তিনি সবার প্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বিশ্বসংসার ছেড়ে তিনি বিদায় নিয়েছেন কয়েকদিন আগেই। একমাসেরও বেশি সময় ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ একমাসের  লড়াইতে তাঁকে শেষমেশ হার মানতে হয়েছে। রোগের কাছে হার মেনে তাঁর জীবনদীপ নিভলেও বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশে তিনি রয়েছেন জীবিত।


সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে নিউটাউনে তৈরি হতে চলেছে 'অপুর সংসার' পার্ক। নামকরা বেসরকারি সংস্থা হিডকোর উদ্যোগে গড়ে উঠবে এই অভিনব বিনোদন পার্ক। ইতিমধ্যেই নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ১ এ নির্মিত হয়েছে 'সোনার কেল্লা' পার্ক। ফেলুদার পঞ্চাশতম পূর্তি ও বাংলা চলচ্চিত্রের শতবর্ষে মহান সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন জানাতে এই পার্ক গড়ে তোলা হয়। 

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শুধু একজন অভিনেতাই নন, তিনি বাঙালির আবেগ। সত্যজিৎ নায়ক হিসেবে তিনি আলোকিত করেছেন বাংলা ছবির দুনিয়াকে। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ চলচ্চিত্র জগৎ। তাঁকে অভূতপূর্ব শ্রদ্ধা জানাতে হিডকো পার্ক বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে সত্যজিৎ রায়ের আরেক অমর চরিত্র প্রফেসর শঙ্কুর নামেও পার্কের কাজ চলছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আরম্ভ হবে 'অপুর সংসার' পার্ক তৈরির কাজ। 

হিডকোর কর্ণধার দেবাশিষ সেনের মতে, "বাঙালির খুব কাছের দুই চরিত্র ফেলুদা ও অপু। আর এই দুই চরিত্রকেই আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাঙালির কাছে আজও ফেলুদা আর অপু মানেই সৌমিত্রবাবু। তিনি বাঙালির কাছে একজন আইকন। আর নিউটাউনকে বাঙালির যাবতীয় নস্টালজিয়া দিয়ে সাজিয়ে তুলতেই উদ্যোগী হিডকো।"  

বিখ্যাত বাঙালি মণীষী ও বাঙালির ঐতিহ্য নিয়ে পার্ক কিন্তু কলকাতায় এই প্রথমবারই তৈরি হচ্ছে না। বহু আগে থেকেই এমন নিদর্শন বানানোর কাজ হয়ে আসছে।   নিউটাউন ছাড়াও কলকাতার অন্যান্য স্থানেও এরকম পার্ক গড়ে উঠেছে বা উঠছে। সম্প্রতি নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়ের নামে বাঘাযতীনে তৈরি হয়েছে একটি উদ্যান। এবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসানের পর তাঁর সঙ্গ প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করতে হিডকোর এই অভিনব উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় সমগ্র বাঙালির কাছে।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments