Header Ads

স্বাধীনতা দিবস যখন অন্য রূপে উদযাপন। নেপথ্যে 'হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ' ও 'অনুভব'


ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস পালন হলো একটু অন্যভাবে। যার নেপথ্যে ছিল 'হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ' ও তাদের সংগঠন সংগঠন 'অনুভব'। করোনা আবহে স্বাধীনতা দিবস পালনের পুরানো আমেজ তেমন ভাবে কোথাও না থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। 


'হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ' ও 'অনুভব' নামের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে গড়ে তোলা হলো অন্যরকম স্বাধীনতা পালনের নিদর্শন। তারা এমন কিছু বিশেষ মানুষদের সাথে স্বাধীনতা দিবস পালন করলো যারা সভ্যতাকে আলোতে আলোতে ভরিয়ে দেয়। যারা সমাজের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু৷ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে অভূতপূর্ব অবদান থাকে তাদের। 

স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরও দেশে কৃষক, বিদ্যুৎ কর্মী ও শ্রমিক শ্রেণীরা সমাজে বঞ্চিত। এদের মুখের দিকে তাকিয়ে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননা। অথচ এই মানুষগুলো না থাকলে সমাজটা পিছিয়ে পড়তে পারে। নিজেদের জীবনের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়ে মানবকল্যাণের জন্য এরা কাজ করে৷ 

গোটা সভ্যতাকে আলোকিত করার পরও অন্ধকারে থেকে যান সামাজিক বন্ধুরা। এমন মানুষদের নিয়ে গত ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মেতে উঠলো 'হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ' ও 'অনুভব'। সমাজের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় বৃক্ষ দত্তক, বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ কর্মসূচীর। 


বিদ্যুৎ কর্মীদের কারো বাড়ি ঝাড়গ্রাম, কারো বাড়ি বেলপাহাড়ি, কারো বাড়ি মেদিনীপুরে। কেউ কেউ শেষ কবে যে বাড়ি গেছেন ভাবতে গেলে মাথা চুলকাতে হবে তাদের। অনেকে যে বাড়ির মুখ কতদিন দেখেন নি তারও হিসেব নেই৷ অনেকে বাড়ি গেলেও তার বাচ্চা হয়তো তাকে বাবা না ভেবে অপরিচিত মানুষ ভাববে। তারা এরকম সব নানান অভিযোগ হাসিমুখে উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। এই সব লকডাউন হিরোদের কাছ থেকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সংগঠনের সকলেই। 

হাওড়ার ডোমজুর পাওয়ার হাউসে উদ্যোগ নেওয়া হয় সমগ্র অনুষ্ঠানের। শ্যামপুরের শিক্ষক কবি শুভময় বাবুর গাছ এখন থেকে বেড়ে উঠবে এই পাওয়ার হাউসে। ডোমজুর পাওয়ার হাউসের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার তিলক বৈদ্যের হাত ধরে বৃক্ষ দত্তক, বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ কর্মসূচির সূচনা হয়৷ 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments