Header Ads

মাধ্যমিকের পর কোন বিষয়ে ভর্তি করবেন আপনার সন্তানকে?



মাধ্যমিকে রেজাল্ট বেরিয়েছে সবে এখন পরীক্ষার্থীদের বাবা মায়ের মনে একটা জিনিস নিয়েই চিন্তা হচ্ছে তা হল ছেলেকে কোন বিষয়ে ভর্তি করবেন। প্রথমেই বলে রাখি যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান সেটা বোঝা আগে প্রয়োজন কারণ সেটা না বুঝলে ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে। সকলেই পড়াশুনায় ভালো হবেন না এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারার কারণেও অনেকের ভালো রেজাল্ট থাকা সত্বেও ওনারা সঠিক জায়গা করে নিতে পারেননা।

যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তার SWOT analysis প্রয়োজন। এটা খুবই সহজ একটা পদ্ধতি SWOT এর অর্থ হল S- Strength অর্থাৎ আপনার ছেলে কোন বিষয়ে শক্তিশালী, তার পড়াশুনো ছাড়া আর কি কি গুণ আছে। সেগুলোর ভবিষ্যৎ কি?  সকলকেই যে পুঁথিগত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এমনটাও নয় বরং অনেকেই আছেন যারা সঙ্গীত, ফাইন আর্টস বা এসব অন্য বিষয়ে বড় হয়েছেন। সেক্ষেত্রে ছেলের স্বপ্নটি না মেরে দিয়ে বরং তাকে নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়তে দিলে তার উন্নতি সম্ভব। অনেক বাবা মা চান তার ছেলে/ মেয়ে ডাক্তার হোক কিন্তু ছেলে/মেয়ে কি চাইছে সেটা গুরুত্ব দিতে চান না, যার ফলে ছেলের অবসাদগ্রস্থতা সৃষ্টি হয় এবং যা তার উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে সেগুলোও গুরুত্ব সহকারে বুঝতে হবে বাবা মা কে। আবেগ রাখবেন না বরং বাস্তবতা দিয়ে বিচার করবেন। তারপর আসে W- Weaknesses এক্ষেত্রে বোঝা প্রয়োজন যে আপনার ছেলে কোন বিষয়ে দুর্বল। সেটা জানা খুব জরুরী কারণ কোনো ছাত্র-ছাত্রী হয়তো অঙ্কে দুর্বল কিন্তু তাকে ভর্তি করা হল সায়েন্সে সেক্ষেত্রে তার উন্নতি কি সত্যি সম্ভব? সেই ক্ষেত্রে কি করা উচিত সেটা অবশ্যই বলছি কিন্তু বাস্তবতা গুলো শুধু বোঝানোর চেষ্টা করছি। প্রতিবেশি কি করলো সেটিও দেখতে যাবেন না নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিন। শিক্ষকদের পরামর্শ করুন ছেলের সাথে কথা বলুন বোঝার চেষ্টা করুন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি।




এবার আসে O- Opportunity  এক্ষেত্রে বোঝা দরকার, যে বিষয়ে ছেলে বা মেয়েকে ভর্তি করছেন তার মধ্যে ভবিষ্যতে কি কি সুযোগ আছে। প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন শুধুমাত্র সরকারি চাকরি নয়, বেসরকারি সরকারি চাকরির ক্ষেত্র গুলিও বোঝা প্রয়োজন। যেহেতু দিন দিন প্রতিযোগিতা বাড়ছে তাই সমস্ত ক্ষেত্রের জন্যই খোলা মানসিকতা থাকার প্রয়োজন। এমনকি ব্যবসা করার মতো কঠিন বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনা জরুরী যেটা খুব কম বাবা-মা করেন। এমনকি আই.আই.টি, আই.আই.এম এরকম প্রতিষ্ঠানের অনেক ছেলে-মেয়েই নিজস্ব স্টার্ট আপ খুলেছেন কিন্তু সেক্ষেত্রেও ঐ সব ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ থাকে যে বাবা-মা চায়না সে নিজস্ব কোম্পানি খুলুক। এই বিষয় গুলিও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। মেয়েদের ক্ষেত্রে তো অনেক বাবা-মা ভেবে নেন যা হোক করে কোথাও পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দিলেই হয়, দয়া করে এই ধরণের চিন্তা-ভাবনা একেবারেই আনবেন না। নিজের সন্তানকে সমান চোখে দেখুন তাকে বড় হওয়ার সুযোগ দিন সে কি করতে চায় বুঝুন।

এবার T- Threat  অর্থাৎ আপনার ছেলে যে বিষয়টি নিয়ে পড়ছে তা পড়লে আপনার ছেলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা।অনেকেরই মনে হতে পারে এত জটিল সব ভাবনা কেন? কিন্তু বাস্তবতা ধরলে এভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এবার বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো কোন ছাত্রের জন্য কোন বিষয় উপযোগী?

সায়েন্স-

সায়েন্সে ভর্তি হওয়ার পিছনে অনেকগুলি কারণ থাকে সেগুলো হল ডাক্তার হওয়া, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া, বিজ্ঞানী হওয়া, স্নাতক, ফার্মাসি, নার্সিং নিয়ে যাতে পড়া যায়।

মেডিক্যাল- অনেকেই চান সায়েন্সে পড়ে মেডিক্যাল দিয়ে ডাক্তার হতে সেক্ষেত্রে কিছু জিনিস বোঝা দরকার। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নের ধরণ এবং মেডিক্যালের নিট পরীক্ষার ধরণ আলাদা।অনেকেই চায় উচ্চ মাধ্যমিক ও নিটের একসাথে প্রস্তুতি নিতে সেক্ষেত্রে বোঝা দরকার একসাথে দুটো টানতে পারার ক্ষমতা তার আছে কিনা। সেক্ষেত্রে আগে উচ্চ-মাধ্যমিক ভালো করে পড়ান উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের পর এক বছর ধরে মেডিক্যালের জন্য প্রস্তুতির রাস্তা খোলা রাখতে পারেন। প্রতিবেশী কি বললো কান দেবেন না। এতে কি হয় উচ্চ-মাধ্যমিকের রেজাল্ট ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যেসব ছাত্রের একসাথে দুটোই টানার ক্ষমতা আছে তারা একসাথে দুটো অবশ্যই করুক।অনেকেই একসাথে মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রস্তুতি নেয় সেক্ষেত্রে খুব কম সংখ্যক ছাত্রই সফল হতে পারে তাই আগের থেকেই নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত।যারা মেডিক্যাল দিতে চান তাদের নার্সিং, ফার্মাসি, প্যারা-মেডিক্যাল, হোমিওপ্যাথিক, ভেটেরিনারি এই অপশন গুলিও হাতে রাখা উচিত।

নার্সিং/ ফার্মাসি- যেসব ছাত্র-ছাত্রী নার্সিং বা ফার্মাসী নিয়ে পড়তে চান, তারা অবশ্যই সায়েন্সে ভর্তি করুন সেক্ষেত্রে এতটা বেশি নাম্বার না পেলেও হবে কারণ এই পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র মেডিক্যালের তুলনায় অনেকটাই সহজ হয়। ফার্মাসি পড়ার পর বেসরকারি চাকরি বা ঔষধ দোকান খোলার রাস্তা থাকে তাই পেশাগত সমস্যা পরে হয়না। নার্সিং এর ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে প্রচুর নিয়োগ হয়। বি.এস.সি নার্সিং এর পর এম.এস.সি নার্সিং করে বিভিন্ন নার্সিং কলেজে শিক্ষকতা করার মতো অপশন গুলিও আছে। এছাড়া  যারা এক্স-রে, প্যাথোলজি ইত্যাদি টেকনিশায়ান হতে চান তারা প্যারামেডিক্যালে ভর্তি হতে পারেন উচ্চমাধ্যমিক এর পর। ফার্মাসির ক্ষেত্রে ডি.ফার্ম, বি.ফার্ম, এম.ফার্ম., ফার্ম.ডি. ইত্যাদি পড়ার সুযোগ রয়েছে।

ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি, বায়োলজি, স্ট্যাটিক্সটিক্স, ম্যাথেমেটিক্স অনার্স- 

অনেকেরই ইচ্ছে আছে গবেষণা করার বা অনেকেই শিক্ষক হতে চান সেক্ষেত্রে এই বিষয় গুলিতে অনার্সে ভর্তি হবার জন্য সায়েন্সে পড়ুক। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এইসব অনার্সকে প্রথমে অনেক বাবা-মাই ক্যারিয়ার ভাবতে ভয় পান যেটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। অনার্সে পড়ার পর বিদেশে এম.এস বা আই.আই.টিতে যাওয়ার অপশন থাকেই সেক্ষেত্রেও তারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমতুল্য বা তার চেয়েও বেশি সুযোগ পেয়ে থাকে। অনেকেই ভাবেন এস.এস.সি হয়না জেনারেলে পড়ে কি হবে সেক্ষেত্রে বলবো শুধুমাত্র সরকারি চাকরি নয় বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোতেও অনার্সের ছেলে-মেয়েদের সুযোগ আছে সেগুলোর জন্যও খোলা মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। জে.আর.এফ নেট এসব দিয়ে পি.এইচ.ডি করলে তার আরো অনেক বেশি সুযোগ তৈরি হতে পারে। সুতরাং সঠিক ভাবে চিন্তা করলে জেনারেল লাইন অবশ্যই অবহেলার নয় বরং সুযোগ অনেক বেশি। স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে অনেকেই জানেন না অথচ স্ট্যাটিস্টিক্সতে অনার্স করলে ম্যাথেমেটিক্সের চেয়েও বেশি সুযোগ থাকে।স্ট্যাটিস্টিক্সতে অনার্স করার পর বিজনেস অ্যানালিটিক্স এ এম.বি.এ. করতে পারলে অনেক ভালো চাকরির সুযোগ থাকে তাছাড়া তারপর আই.আই.এম., আই.এস.আই., চেন্নাই ম্যাথেমেটিক্যাল ইনস্টিটিউট এইসব জায়গা বা বিদেশ থেকে পি.এইচ.ডি করলে খুব ভালো ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা থাকে। বায়োলজি অনার্সদের ক্ষেত্রের বায়োটেকনোলজি, জেনেটিক্স এই সবের ওপর অনেক সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া জিওলজি, বোটানি, অ্যানথ্রোপলজি ইত্যাদি বহু দিকে যাওয়ার সুযোগ আছে বায়োলজি অনার্সদের।

কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স অনার্স-

যাদের আর্থিক অবস্থা এতটা ভালো নয় তারা বি.টেক. না পড়ে কম্পিউটার সায়েন্স বা ইলেকট্রনিক্স তে অনার্স করেও বিভিন্ন আই.টি. কোম্পানির চাকরিতে সুযোগ পেতে পারেন। সুতরাং শুধুমাত্র অনার্স করার ইচ্ছে থাকলেও সায়েন্সে ভর্তি করতে পারেন এতেও সুযোগ কোনো অংশে কম নেই। যে কোনো বি.এস.সি. এর পরই এম.টেক., এম.এস. এগুলো করতে পারলে সুযোগ অনেক বেড়ে যেতে পারে।

তাছাড়া বিভিন্ন সংস্থার যেভাবে বেসরকারিকরণ হচ্ছে তাতে সরকারির মতো বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রগুলো ভেবেও পড়াশোনা করা দরকার। সহজ রাস্তায় চাকরি পেতে হবে এ-ধরণের মানসিকতা বদলে ফেলে পি.এইচ.ডি. করে রিসার্চ করার মতো ভাবনাগুলিও রাখা দরকার।

ইঞ্জিনিয়ারিং- এক্ষেত্রেও যারা আই.আই.টি., যাদবপুরের মতো জায়গায় পড়তে চায় তাদের একই সাথে উচ্চমাধ্যমিক ও এই ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা একসাথে সফল হতে পারবে এরকম মনোবল কোনো ছাত্রের থাকলে তবেই একসাথে তা করা উচিত। নইলে প্রথমে উচ্চ-মাধ্যমিক দিয়ে পরের বছর বছর জয়েন্ট দেওয়া উচিত। সায়েন্সে পড়ার মতো মনের জোর অনেকেরই থাকেনা কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার ইচ্ছে আছে তারা ডিপ্লোমা কোর্সগুলির দিকেও যেতে পারেন।এই সব ক্ষেত্রে আই.টি.আই. বা ভোকেশনাল করেও ডিপ্লোমা করতে পারেন।আই.টি.আই. বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে রিপেয়ারিং, টেক্সটাইল ইত্যাদি বিভিন্ন কোর্স করা যেতে পারে। এছাড়া বি.সি.এ., এম.সি.এ. এসবও পড়তে পারে বেশি টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারিং তে না পড়েও একইরকমের চাকরি পাওয়া সম্ভব এই সব কোর্সগুলো থেকে।

কমার্স-

এবার আসি কমার্সের কথায়। পশ্চিমবঙ্গে অনেকেরই একটা ধারণা আছে কমার্সে পড়লে নাকি ভবিষ্যৎ নেই যা একটি ভ্রান্ত ধারণা। বি-কম করার পরই অ্যাক্সেঞ্চার, জেনপ্যাক্ট ইত্যাদি কোম্পানি গুলোতে চাকরির যথেষ্ট সুযোগ আছে।তাছাড়া চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট, বি.বি.এ এইসব ক্ষেত্রগুলিতে কমার্সের ছাত্ররা অনেকটাই এগিয়ে থাকেন। বি.টেক. করার পর এম.বি.এ. তে অনেকেই যান সেক্ষেত্রে খরচ অনেক বেশি হয়। আর্থিক ভাবে যারা স্বচ্ছন্দ নন তারা এভাবেও ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। তবে কেউ যদি বিজনেস অ্যানালিটিক্স, ফাইনান্সিয়াল ইকনোমেট্রিক্স এই সব নিয়ে গবেষণা করতে চায় তাদের জন্য স্ট্যাটিটিক্স বা বিজ্ঞান বিভাগ পড়া ভালো কারণ এক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম গাণিতিক মডেল বুঝতে অনেক সুবিধা হবে তাদের। তাছাড়া বি-কমের পর ইকোনমিক্স এ এম.এস.সি., এম.কম. বা ক্যাট দিয়ে আই.আই.এম. তে ভর্তি হবার সুযোগ থাকে। এছাড়া সি.এফ.এ.,সি.পি.এ.,সি.এ.আই.এ., সি.এফ.পি., এফ.আর.এম., এফ.এম.ভি.এ. ইত্যাদি বহু রকমের আন্তর্জাতিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। এছাড়াও ইকোনমিক্স, সামাজিক বিজ্ঞান, পাবলিক পলিশি ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগ আছে কমার্সের ছাত্রদের জন্য।

আর্টস-

আর্টস বিভাগকে অনেকেই নীচু করে ভাবেন যা একেবারেই অনুচিৎ পড়াশুনার সমস্ত বিভাগ-ই ভালো সঠিক ভাবে সেটাকে কাজে লাগালে। বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, ইংরেজি লিটারেচার, পলিটিক্যাল সায়েন্স, সংস্কৃত, সঙ্গীত, অঙ্কন, তবলা প্রত্যেকটি বিভাগেই যথেষ্ট স্কোপ আছে।  

আর্টসে পড়ার পর ভূগোলে অনার্সের পর টিচার, প্রফেসর ইত্যাদির পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তর, বন-দপ্তর, এয়ার সার্ভেয়ার ইত্যাদি বিভিন্ন রকম কাজ ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

বাংলা অনার্স করে স্কুল শিক্ষক, প্রফেসর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রুফ রিডার এরকম অনেক পেশার সুযোগ রয়েছে।তাছাড়া যে-কোনো আর্টস সাবজেক্টের পর যারা অঙ্কন, সঙ্গীত বা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়েও পড়াশুনা করতে পারে। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনায় এতটা ভালো নয় কিন্তু এসব ভালো পারে যারা তাদের জন্য অঙ্কন, নৃত্য এগুলোও তো পেশা হতে পারে।ফাইন আর্টস, সঙ্গীত ইত্যাদিতে স্নাতক হবার পর এইসবের শিক্ষকতা করতেই পারেন বিভিন্ন সঙ্গীত বা অঙ্কন স্কুল, কলেজে সেটা সরকারি বা বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই হতে পারে। পলিটিক্যাল সায়েন্সে অনার্সের পর মাস-কমিউনিকেশন, বা উচ্চ-মাধ্যমিকের পর জার্নালিজম, আইন ইত্যাদি বহু বিভাগ রয়েছে আর্টসের বিষয়ে অনার্স করার পরেও, সুতরাং আর্টসে ভর্তি হলেই আপনার সন্তান অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়লো এমনটি ভাবার বা ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। ইংরেজি অনার্সের ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারির পাশাপাশি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, এম.বি.এ., এম.সি.এ. এসব কলেজে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার চাকরি পেতে পারেন।

এগ্রিকালচার-

এই ক্ষেত্রেও বি.এস.সি., বিটেক, এম.এস.সি, ডিপ্লোমা সব কিছুই রয়েছে। হর্টিকালচার, ফরেস্ট্রি, ফুড প্রসেসিং, সেরিকালচার ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে কর্মের সুযোগ। এগ্রিকালচারে এম.বি.এ. করলেও বহু সুযোগ তৈরি হয়।বিভিন্ন কৃষি বিদ্যলয়ে শিক্ষকতা, গবেষণা, কীটনাশক কোম্পানি ইত্যাদিতে রয়েছে চাকরি পাওয়ার সুযোগ।

অন্যান্য কোর্স-

তাছাড়া ফিল্ম, ভি.এফ.এক্স., সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এসবেরও বিভিন্ন কোর্স করা যেতে পারে পড়ার সাথে সাথে, কারণ এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলির ভবিষ্যৎ ক্রমশ উর্ধগামী। এছাড়া ফ্যাশন ডিজাইনিং, টেক্সটাইল, হাতের কাজ ইত্যাদি বহু রকমের কোর্স হয় ক্যারিয়ার তৈরির জন্য।

অবশেষে বলে রাখা ভালো শুধু চাকরির জন্যই পড়াশুনা নয় তাই ব্যবসা-বানিজ্য এসব করার জন্যও মানসিকতা তৈরি করা দরকার। সেক্ষেত্রে এন্ট্রিপ্রিনরশিপ নিয়েও বিভিন্ন কোর্স আছে সেগুলোও ভর্তি করতে পারেন ছেলে-মেয়েদের।

প্রতিবেদন-লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

1 comment:

  1. ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এ কোন কোন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে

    ReplyDelete