Header Ads

করোনা ও আমফান আক্রান্ত দুর্গত মানুষদের পাশে এবার বাংলার কণ্ঠ


বাঙালিই তো বাঙালির বিপদে দাঁড়াবে এ কথা অনেকাংশেই সত্য। বাংলার ঘরে ঘরে বারে বারে জন্ম নিয়েছেন অজস্র দানবীর। আজও জন্মাচ্ছেন অজস্র দানবীর। বাঙালির বিপদে বারংবার এগিয়ে এসেছেন বহু বাঙালি। সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধূলো, কালচার সবেতেই বাঙালির জুড়ি মেলা ভার৷ এসব বাদেও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বাঙালির এক বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। মানুষের বিপদে কীভাবে হাত বাড়িয়ে দিতে হয় সেটাও বাঙালিরা বেশ ভালোভাবেই জানেন। 


আবারো মানবতার নজির গড়তে দেখা গেলো বাংলার কণ্ঠ নামে একটি ইয়ুথ অরগানাইজেশানকে। গত ৪ ঠা জুন সকালে হাওড়ার মৌরিগ্রামে বসবাসকারী  একশোটি দরিদ্র পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো কিছু শুকনো খাবার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঐ পরিবারগুলোকে বিতরণ করেছে মুড়ি, চিড়ে, বিস্কুট, সাবান ও স্যানিটারি ন্যাপকিন। এর পূর্বে সুন্দরবনের গোসাবায় বসবাসকারী একশোটি দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার কণ্ঠ। দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আগামী ৬ ই জুন ভাঙড়ে এবং আগামী ৭ ই জুন উত্তর ২৪ পরগণার বেশ কয়েকটি জায়গায় পৌঁছে যাবে বাংলার কণ্ঠ।

বাংলাতে বিশ্ব মহামারী ও জাতীয় বিপর্যয় আমফানের শিকার বহু মানুষ। দিন আনি দিন খাই মানুষের বেশ কষ্টে দিন কাটছে এই পরিস্থিতিতে। তাদের জন্য বাংলার কণ্ঠ নিঃস্বার্থ ভাবে মহৎ উদ্যোগের সাথে এগিয়ে এসেছে। যে উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সামাজিক উন্নয়নে তারা আজ পথে নেমেছে৷ লকডাউনে ত্রাণ তহবিলের পাশাপাশি বাংলার কণ্ঠ শুরু করেছে বিনে পয়সায় অনলাইন ক্লাস। এছাড়াও সুন্দরবনে তারা শুরু করেছে কমিউনিটি কিচেন। এমনকি আমফানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে তারা শুরু করেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প৷ ভবিষ্যতেও আরো অনেক প্রজেক্টের সাথে যুক্ত হতে চলেছে তারা। তার মধ্যে যেমন ভানগড়, সুন্দরবন, হাওড়া ও বসিরহাটে রিলিফ ফান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ও মেডিক্যাল ক্যম্প এবং কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ চার জেলাতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর আয়োজন করতে চলেছে তারা। 

বাংলার কণ্ঠের সম্পাদক সৌপায়ন ঘোষ লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান "আমরা গ্রামে গ্রামে আক্রান্ত লোকেদের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আগামীদিনেও করবো৷ আমাদের সামনে আরো কয়েকটি কর্মসূচী আছে। আমফানের জন্য অনেক গাছ পড়েছে, তাই আমরা ঠিক করেছি এই বছর যেহেতু ২০২০ তাই ২০২০ তে গাছের চারা লাগাবো চারটে জেলাতে। এবং তার সাথে রিলিফের কাজ চালাবো।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments