তিন বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও এক বাঙালির বৌমা বাতলে দিলেন করোনা প্রতিরোধের সঠিক উপায়
লকডাউন ভঙ্গ করে বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের আনাগোনা। গৃহবন্দী দশাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাড়ি থেকে যখন তখন বেরিয়ে পড়ছেন অসংখ্য মানুষ। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করার পরও রাতারাতি তারা ভিড় জমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না। অনেক মানুষই সচেতনতা অবলম্বন করছেন না। এর আসল কারণ বাতলে দিলেন তিন বাঙালি অর্থনীতিবিদ।
গতকাল এক সর্বভারতীয় টেলিভিশনে করোনা মোকাবিলা নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়, অমর্ত্য সেন ও কৌশিক বসু। এছাড়াও তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এস্টার ডাফলো। একদম নিঁখুত ভাবে যুক্তি দিয়ে সকলে বুঝিয়ে দিলেন প্রতিটি বিষয়। সকলেই করোনা মোকাবিলার প্রথম পয়েন্ট হিসেবে তারা দারিদ্র্য দূরীকরণের কথা বলেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় বলেন "লোকে যদি অন্নের সংস্থানে রাস্তায় বেরোতে বাধ্য হয়, তাহলে লকডাউনের কোনো সুফল পাওয়া যাবে না।"
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্টার ডাফলোও একই কথায় বলেন। তিনি বলেন লোকজনের খাওয়ার ব্যবস্থা করা করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেন "কেউ যখন ভাবছেন কী করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে, কেউ তখন ভাবছেন কোথায় দুমুঠো অন্নের জোগান পাওয়া যাবে। কাজেই প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে।"
অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেন "যারা বলছেন আগে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা জিততে হবে, তারপর জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে ভাবা যাবে। এটা যারা বলছেন তারা একদমই ভুল করছেন।"
এই চার অর্থনীতিবিদদের প্রতিটি বক্তব্যে যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে। অনেকের কাছে বিশেষ করে অর্থনীতি সম্পর্কে যাদের নূন্যতম ধারণা নেই তারা হয়তো এনাদের বক্তব্য হেসে উড়িয়ে দিতে পারেন৷ কিন্তু তাঁরা যে বক্তব্য রেখেছেন সেই বিষয়গুলো কিন্তু অনেককে ভাবাচ্ছে। কারণ প্রথমে লকডাউন ২১ দিনের জন্য করা হলেও লকডাউনের শেষ সপ্তাহে মৃত্যু হার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে লকডাউনের সময়সীমা আরো বেশি বৃদ্ধি পেল। এমতাবস্থায় বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই খাদ্য সংকট চরম আকারে দেখা দিতে পারে৷ অতএব যাতে কোনো মানুষের কোথাও খাদ্য সংকট না হয় সে বিষয়ে সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে করোনা ক্রমশ মহামারীর আকার ধারণ করবে।
যদিও সমাজের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষ গরীবদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে এগিয়ে এসেছেন। অসংখ্য মানুষ নিজের জমানো টাকাতে চাল, ডাল, তেল, আলু ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দিয়ে দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করছেন। তাদের হাত ধরে কিছুটা হলেও খাদ্য সংকট রোধ করা যেতে পারে। মানুষ যে মানুষের জন্য এ কথায় যে যুগে যুগে চিরসত্য তার আবারো প্রমাণ মিলছে।
প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক
বাঙালির বৌমা লিখে হেডলাইন সাজিয়েছেন কেন? তিনি একজন নোবেলবিজয়ী দুঁদে অর্থনীতিবিদ। যথাযথ সম্মান দিন। চার অর্থনীতিবিদ লিখতে কি অসুবিধাহচ্ছিল আপনাদের?
ReplyDeleteঠিক
Deleteঅবশ্যই পৃথিবীর প্রথম সারির অর্থনীতিবিদগণ অনেক ভেবেই বলেছেন ॥
ReplyDelete