Header Ads

করোনার আতঙ্কের জেরে হোটেলবন্দী দুই বাঙালি পরিবার মালয়েশিয়াতে


করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক চলছে পুরো বিশ্ব জুড়ে। বাড়িতে বসে দিন কাটছে সকলের। বিশ্ব জুড়ে জারি বিশেষ সর্তকতা। এমনকি দেশের প্রায় ৭৫ টি শহরকে লকডাউন করা হয়েছে। আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ  করা হয়েছে রেলওয়ে পরিষেবা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশানের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনার ফলে ভারতে মহামারী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কার্যত দেশজুড়ে একটা ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছে। 


করোনা প্রকোপের মাঝেই মালয়েশিয়াতে বিপদের সম্মুখীন দুই বাঙালি পরিবার।  ছয়জন বাঙালি একসাথে একটি ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে গত ১৪ ই মার্চ দমদম থেকে ব্যাঙ্গালোর রওনা হন। এরপর ১৫ ই মার্চ রাত দুটোতে রওনা হয়ে যান সিঙ্গাপুরে। তারপর সিঙ্গাপুরে ১৫ ই মার্চ ও ১৬ ই মার্চ ভ্রমণ  করার পর ১৭ ই মার্চ সকাল নটায় বাসে করে তারা মালয়েশিয়া যান। এরপর ঐদিন বিকেল পাঁচটার সময় কুয়ালালামপুরে পৌঁছান। ঐ ছয়জন বাঙালির বাড়ি হুগলির শ্রীরামপুরে। করোনার ভাইরাসের আতঙ্কের কারণে কুয়ালালামপুরে হোটেলবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। 

ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তারা দেশে ফেরার জন্য। তাদের হাতে অর্থও কম রয়েছে। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামের জন্য তাদের পর্যাপ্ত অর্থ শেষ হওয়ার পথে। এমনকি তারা ভারতীয় দূতাবাসের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ভারতীয় দূতাবাসের ওপর নির্ভর করলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওপরই ভরসা রাখছেন তারা। 

মালয়েশিয়াতে বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান চলাচল। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলাতে তৎপর হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়া সরকার৷ বিদেশ থেকে আসা সকল মানুষকে তারা আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। প্রায় চৌদ্দ দিন তাদের আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার থেকে তারা ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ট্রাভেল এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। একজন ট্রাভেল এজেন্ট তাদের বলেন যে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট ভারত যাচ্ছে সেটাতে তাদের যেতে। যদিও হাতে মাত্র ত্রিশ মিনিট থাকার জন্য তারা ফ্লাইটে ফিরতে পারলেন না। বৃহস্পতিবার থেকে মালয়েশিয়াতে বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে। একদিকে বিমান নেই, অন্যদিকে খাবারের অতিরিক্ত  দাম, পর্যাপ্ত অর্থ শেষ হওয়ার পথে। তারা কীভাবে ভারতে ফিরে আসবেন বুঝতে পারছেন না। মালয়েশিয়াতে হোটেল বন্দী হয়ে অসহায় ভাবে তাদের দিন কাটছে। তারা জানেনা যে কবে তারা দেশে ফিরছেন। 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments